লখনউ: উত্তর প্রদেশের হাথরাসে গণধর্ষণকাণ্ডের তদন্তে তিন সদস্যের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (সিট) গঠন করেছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার৷ মঙ্গলবার সকালে তদন্ত করতে ফের গ্রামে পৌঁছন অফিসাররা৷ ঘুরে দেখেন ঘটনাস্থল৷ আগামীকাল রিপোর্ট জমা দেবেন তাঁরা৷
আরও পড়ুন- হাথরাসকাণ্ডে অভিযুক্তদের সমর্থনে গলা ফাটাচ্ছে ঠাকুররা, প্রকাশ্যে হুমকি ভীম সেনা প্রধানকে
হাথরাসকাণ্ডের তদন্তে গঠিত তিন সদস্যের এই প্যানেলের রয়েছে উত্তর প্রদেশের স্বরাষ্ট্র সচিব ভগবান স্বরূপ, ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ চন্দ্রপ্রকাশ এবং আইপিএস অফিসার পুনম৷ গত ১৪ সেপ্টেম্বর হাথরাসে বছর ২০-র এক দলিত তরুণীকে গণধর্ষণ করা হয়৷ নির্মম ভাবে তাঁর উপর অত্যাচার চালায় ধর্ষণকারীরা৷ গুরুতর জখম হয় তাঁর মেরুদণ্ড৷ তাঁর জিভও কেটে নেওয়া হয়৷ এই ঘটনায় উচ্চবর্ণের চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ কিন্তু এই ঘটনার অভিযোগ জানানোর পর দ্রুত কোনও পদক্ষেপ করা হয়৷ উল্টে ওই তরুণীর মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারকে অন্ধকারে রেখে মধ্যরাতে তড়িঘড়ি দেহ সৎকার করে দেয় পুলিশ৷ তাঁর পরিবারকে বাড়িতে আটকে রাখা হয়৷ ফরেন্সিক রিপোর্ট তুলে বলা হয়, কোনও গণধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই তোলপাড় গোটা দেশ৷ হাথরাসে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উত্তর প্রদেশে সরকার৷ রুদ্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে সংবাদমাধ্যমের বাক স্বাধীনতা৷
আরও পড়ুন- যুদ্ধ বাধলে এঁটে উঠবে না চিন, মোক্ষম জবাব দেবে ভারত: বায়ুসেনা প্রধান
গতকাল হাথরাস যাওয়ার পথে এক সাংবাদিক এবং পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (পিএফআই)-র তিন সদস্যকে মথুরা থেকে আটক করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ৷ দিল্লি থেকে গাড়ি করে হাথরাস যাচ্ছিলেন তাঁরা৷ পুলিশ সূত্রে খবর, আতিক-উর-রহমান, সিদ্দিকি কাপ্পান, মাসুদ আহমেদ এবং আলম নামে চার ব্যক্তির গাড়ি টোলে আটকানো হয়৷ পুলিশ জানায়, দিল্লি থেকে কিছু সন্দেহভাজন ব্যক্তি হাথরাসে ঢোকার চেষ্টা করছে বলে তাদের কাছে খবর ছিল৷ তাঁরা হাথরাসের শান্তি বিঘ্নিত করতে পারে এই অভিযোগেই তাঁদের আটক করা হয়৷ পরে জানা যায় সিদ্দিকে কাপ্পান আসলে একজন সাংবাদিক এবং কেরল ইউনিয়ন ওফ ওয়ার্কিং জার্নালিস্ট-এর দিল্লি শাখার সম্পাদক৷ হাথরাসের হালহকিকত তুলে ধরতেই সেখানে যাচ্ছিলেন তিনি৷ এর পরই তাঁকে দ্রুত ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ৷ এর আগেও সংবাদমাধ্যমকে আটকানোর চেষ্টা হয়েছে হাথরাসে৷ আটক করা হয়েছিল এবিপি লাইভের সাংবাদিক ও চিত্রসাংবাদিককে৷