নয়াদিল্লি: হাথরাস গণধর্ষণ কাণ্ডে সারা দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে৷ প্রশ্ন উঠেছে যোগী রাজ্যে নারী নিরাপত্তা নিয়ে৷ সেই সময় ফের বিতর্ক উস্কে দিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি মার্কন্ডেয় কাটজু৷ দেশে ধর্ষণের ঘটনা বাড়ার পিছনে এক উদ্ভট যুক্তি খাড়া করলেন তিনি৷
আরও পড়ুন- রাহুলকে গলা ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে গ্রেফতার করল যোগীর পুলিশ
বুধবার টুইট করে কাটজু বলেন, দেশে ধর্ষণ বেড়ে চলার অন্যতম কারণ হল বেড়ে চলা বেকারত্ব৷ এই কথায় ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি৷ কাটজুর কথায়, ‘‘যৌনতা পুরষদের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি৷ ভারতের মতো রক্ষণশীল দেশে বিয়ে করেই পুরুষরা সেই তাগিদ মেটায়৷ কিন্তু বেড়ে চলা বেকারত্বের কারণে পুরুষদের পক্ষে বিয়ে করাটাই কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে৷ যৌন চাহিদা মেটাতে না পেরেই তারা ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের করছে৷’’
কাটজু বলেন, ‘‘এক সময় বলা হত খাদ্যের পরই পুরুষের প্রথম চাহিদা যৌনতা৷ কিন্তু ব্যাপক বেকারত্বের জন্য পুরুষরা বিয়ে করতে পারছে না৷ ফলে যৌন চাহিদাও পূরণ হচ্ছে না৷ বিপুল সংখ্যক পুরুষ যৌন আকাঙ্খা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে৷ একটা বয়সের পর যেটা খুবই স্বাভাবিক৷ চাহিদা পূরণ না হওয়ার ফলেই বাড়ছে অপরাধের প্রবণতা’’ তবে তিনি কোনওভাবেই যে ধর্ষণকে সমর্থন করেন না, সে কথাও পোস্টে উল্লেখ করে দিয়েছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি আরও একবার স্পষ্ট বলতে চাই যে, আমি ধর্ষণকে ন্যায়সঙ্গত বলছি না৷ আমি এর চরম নিন্দা করছি৷ কিন্তু দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে বলছি, এই সমস্যা আরও বাড়তে বাধ্য। আমরা সত্যিই যদি ধর্ষণের মতো ঘটনা কমাতে চাই, তাহলে এমন একটা সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, যেখানে বেকারত্ব থাকবে না। বা থাকলেও খুব কম।’
আরও পড়ুন- পুজোর মরশুমে কত হল রান্নার গ্যাসের দাম? জানুন বিস্তারিত
হাথরাস গণধর্ষণ কাণ্ডে রাগে ফুঁসছে দেশ৷ এই ঘটনায় পুরুষদের নিন্দা করার বদলে ধর্ষণ বাড়ার যে ব্যাখ্যা তিনি দিয়েছেন, তাতে ক্ষুব্ধ নেটিজেনরা৷ প্রাক্তন বিচারপতির এহেন মন্তব্যে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া৷