নয়াদিল্লি: ৩৪ বছর পর দেশে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি ঘোষণা করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার৷ বদলে ফেলা হয়েছে পুরনো শিক্ষানীতির খোলনলচে৷ কিন্তু কবে দেশদুড়ে নয়া শিক্ষানীতি রূপায়িত হবে, সেই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছিল শিক্ষা মহলে৷ শুক্রবার স্কুল শিক্ষা নিয়ে ‘শিক্ষা পর্ব’ সম্মেলনে সেই প্রশ্নেরই উত্তর দিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ জানালেন, ২০২২ সালের মধ্যেই স্কুলে নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি অনুসারে পাঠ্যক্রম চালু করা হবে৷
আরও পড়ুন- সীমান্ত থেকে সেনা সরাক চিন, মস্কোয় দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বার্তা জয়শঙ্করের
তাঁর কথায়, ‘‘এই শিক্ষানীতি সিলেবাসের বোঝা কমিয়ে পড়াশোনাকে অনেক বেশি মজাদার করে তুলবে৷ অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে জ্ঞান অর্জন করবে পড়ুয়ারা৷ এর জন্য পাঠ্যক্রমের নতুন পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে৷’’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘২০২২-এর মধ্যে ছাত্রছাত্রীরা নতুন পাঠ্যক্রমের মধ্যে ঢুকে পড়বে৷ বিজ্ঞানসম্মত ভাবেই এই পাঠ্যসূচি তৈরি করা হয়েছে৷ যা ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ গড়তে সাহায্য করবে৷ শুধু লেখাপড়া নয়, নয়া জাতীয় শিক্ষানীতিতে ছাত্রছাত্রীদের চিন্তাশক্তি বৃদ্ধির বিষয়টিতে বিশেষ ভাবে জোর দেওয়া হয়েছে। নয়া শিক্ষানীতি পড়ুয়াদের সৃজনশীলতা, তাদের দক্ষতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করবে৷’’ পাশাপাশি 5E ফর্মুলাও দিয়েছেন নমো- এনগেজ, এক্সপ্লোর, এক্সপেরিয়েন্স, এক্সপ্রেস এবং এক্সেল৷
প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘‘আমাদের দেশে ড্রপআউটের অন্যতম কারণই ছিল পড়ুয়ারা তাদের মনের মতো বিষয় নিয়ে পড়ার সুযোগ পেত না৷ কিন্তু নয়া শিক্ষানীতি তাদের সেই সুযোগ করে দেবে৷ এখন আর বিজ্ঞান, কলা বা বণিজ্য বিভাগের গন্ডির মধ্যে আটকে থাকবে না শিক্ষার্থীরা৷ তারা যে কোনও বিষয় নিয়ে পড়ার সুযোগ পাবে৷ অঙ্কের পাশাপাশি শিখতে পারবে সঙ্গীত৷ কিংবা বিজ্ঞানের পাশাপাশি ফ্যাশন ডিজাইনিং৷’’
আরও পড়ুন- কম খরচে পোস্ট অফিসে মিলবে বিমান-ট্রেন-বাসের টিকিট, হোটেলে বুকিং
প্রসঙ্গত, আগে শিক্ষাব্যবস্থার কাঠামো ছিল ১০+২ । কিন্তু সেই কাঠামো পুরোপুরি ভেঙে নতুন শিক্ষানীতিতে করা হয়েছে ৫ + ৩ + ৩ + ৪। অর্থাৎ বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে আরও তিন বছর যোগ করা হয়েছে। যার মধ্যে প্রথম তিন বছর প্রাক প্রাথমিক স্তুরের শিক্ষা। এই প্রি-প্রাইমারি স্তরের জন্য সারা দেশে একটি অ্যাকটিভিটি ও লার্নিং বেসড শিক্ষানীতি তৈরি হবে।
উচ্চশিক্ষাতেও বড়সড় রদবদলের আনা হয়েছে নয়া শিক্ষানীতিতে। তার মধ্যে অন্যতম মাল্টিপল এনট্রি অ্যান্ড এক্সিট সিস্টেম চালু করা। অর্থাৎ পড়াশোনার মাঝে কোনও পড়ুয়া কোনও কারণে মাঝপথে ছেড়ে দেওয়ার পরে চাইলে আবার সেখান থেকে শুরু করতে পারবেন।