নয়াদিল্লি: সারা বিশ্ব যখন করোনার বিরোধী লড়াইয়ে সামিল হয়েছে, তখন ভারতে নাশকতার ছক কষছে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনগুলি৷ পাকিস্তানের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি মৌলনা মাসুদ আজহারের নিশানায় এখন অযোধ্যায় নির্মীয়মান রামমন্দির৷ চলছে জঙ্গি নিয়োগের কাজ৷ পাকিস্তানের মাটিতে বহালতবিয়তে ঘুরে বেরাচ্ছে এই পাক জঙ্গি৷
আরও পড়ুন- KBC-তে ৫ কোটি জিতেও ছারখাড় জীবন, ঠোক্কর খেয়ে ঘুরল সুশীল-ভাগ্য
সম্প্রতি মাসুদ আজহার এবং হাফিজ সইদের বিরুদ্ধে কিছু এক্সক্লুজিভ তথ্য হাতে এসেছে জি নিউজের৷ তাদের দাবি, সারা বিশ্বে যখন করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে, তখনও বন্ধ থাকেনি জঙ্গিমূলক কার্যকলাপ৷ বরং পাকিস্তানে বসে তখন চলছিল দিল্লি ও মুম্বইয়ে হামলার ষড়যন্ত্র৷ লকডাউনকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের জঙ্গি সংগঠনের ভিত আরও মজবুত করার চেষ্টা চালিয়েছে এই দুই পাক জঙ্গি নেতা৷ গত জানুয়ারি থেকে অগাস্ট মাস পর্যন্ত একের পর এক ভারত বিরোধী ভিডিয়ো এবং বিবৃতি প্রকাশ করেছে এই জঙ্গি সংগঠনগুলি৷ লকডাউন শিকেয় তুলে পাকিস্তানের বড় বড় শহরে সমাবেশ করেছে৷ পাক প্রধানমন্ত্রী অবলীলায় এই বিষয়টি অস্বীকার করতেই পারেন৷ তিনি বলতেই পারেন, এই বিষয়ে তাঁর কিছুই জানা নেই৷ কিন্তু পাক সেনার হাতে জঙ্গি নেতাদের কার্যকলাপের কোনও তথ্য নেই, তা বিশ্বাস করা কঠিন৷
বর্তমানে পাকিস্তানে ৪০ হাজার জঙ্গি রয়েছে৷ যার মধ্যে ১৬ জনকে ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক জঙ্গি বলে ঘোষণা করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ৷ এই ১৬ জন জঙ্গিই জামাত-উদ-দওয়া এবং জইশ-ই-মহম্মদের সদস্য। এই দু'টি জঙ্গি সংগঠকেই গোটা বিশ্বে নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ অথচ সন্ত্রাসের আতুঁর ঘর বলে চিহ্নিত পাকিস্তানে এখনও সমানভাবে সক্রিয় রয়েছে তারা৷
আরও পড়ুন- সবার জন্য প্রতিষেধক বাজারে মিলবে কবে? সিরাম-বার্তায় মুখ পুড়ছে রাজনৈতিক নেতাদের
গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন৷ অনেকেই একে ভারতের নয়া যুগের সূচনা বলে অভিহিত করেন৷ কিন্তু রামমন্দিরের সূচনাকে একেবারেই ভালো নজরে নেয়নি পাকিস্তান৷ জি নিউজের দাবি, গত ৫ অগাস্ট থেকেই পাক জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির নিশানায় রয়েছে রামমন্দির৷ প্রকাশ্যে রামমন্দিরের নির্মাণকে অবৈধ ঘোষণা করে বাবরি মসজিদে নামাজ পড়ার হুঙ্কারও দেয় মাসুদ আজহার৷ এমনকী রামমন্দির নির্মাণ ঠেকাতে তার অনুগামীরা নিজেদের জীবন দিতে পিছপা হবে না বলেও হুশিয়ার করেন তিনি৷
পুলওয়ামা এবং পাঠানকোটে জঙ্গি হামলার মাস্টারমাইন্ড মাসুদ আদাহারকে গত বছর আন্তর্জাতিক জঙ্গি বলে চিহ্নিত করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ৷ কিন্তু এখনও তার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি ইমরান খানের সরকার৷