KBC-তে ৫ কোটি জিতেও ছারখাড় জীবন, ঠোক্কর খেয়ে ঘুরল সুশীল-ভাগ্য

KBC-তে ৫ কোটি জিতেও ছারখাড় জীবন, ঠোক্কর খেয়ে ঘুরল সুশীল-ভাগ্য

3ba31c725c0578b2fd4e312283d48ae8

মুম্বই: ভারতীয় টেলিভিশনের জনপ্রিয় গেম-শো ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’৷ খুব দ্রুত নতুন সিজন নিয়ে টিভির পর্দায় হাজির হবেন করোনা-মুক্ত অমিতাভ বচ্চন৷ নতুন পর্ব আসলেও কেসিবির ইতিহাসের সব থেকে বেশি চর্চি যাকে নিয়ে হয়েছেন, তিনি কোটি টাকা বিজেতা চম্পারণের সুশীল কুমার৷ ২০১১ সালে কেবিসির পঞ্চম সিজনে পাঁচ কোটি টাকা বিজিতে৷ তবে ৫ কোটির জিতেও তাঁর জীবনের কোনও মুশকিল আসান হয়নি, উল্টে পরিস্থিতি কঠিন হয়েছে৷ এবার সেই জীবনের কথা ফেসবুকে লিখলেন সুশীল৷

রাতারাতি বিপুল টারা পেয়ে নেশায় বুঁদ হয়ে যান সুশীল৷ বিদেশি মদ, দামী সিগারেটের নেশায় ডুবে যান তিনি৷ পিছনে পড়ে যায় প্রতারকরা৷ তাঁকে ঠকিয়ে প্রচুর টাকা লুট করে নেন বহু মানুষ৷ এমনকী, নিজের স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরে৷ ছারখাড় হয়ে যায় সংসারও৷  ফেসবুকে নিজের দুর্দাশার কথা জানিয়ে সুশীল লেখেন, কেবিসিতে জয়ের পর মাসে অন্তত ১৫ দিন বিহারের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁকে আমন্ত্রণ করা হত৷ আর তার জেরে লাটে ওঠে তাঁর পড়াশোনা৷ সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাত্কার দিতে দিতে চটজলদি ব্যবসায় মোটা বিনিয়োগ করতে শুরু করেন তিনি৷ কিন্তু, বিনা অভিজ্ঞতায় বিনিয়োগ করতে গিয়ে ভরাডুবি ঘটে৷

কেবিসিতে ৫ কোটি জেতার জেরে রাতারাতি সমাজকর্মী হিসাবে পরিচিত হয়ে যান তিনি৷ প্রত্যেক মাসে বিভিন্ন সংস্থায় প্রায় ৫০ হাজার টাকা অনুদান দিতে শুরু করেন৷ ধীরে ধীরে কমতে থাকে হাতের টাকা৷ একটা সময় কোনও মানুষের উপর ভরসা রাখতে পারছিলেন না তিনি৷ নিজের স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত বচসা, ডিভোর্স পর্যন্ত মামলা গড়ায়৷ মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন৷ ল্যাপটপে ছবি দেখে ফিল্মমেকার হওয়ার পরিকল্পনা নেন তিনি৷ পৌঁছে যান মুম্বইয়ে৷ কানে আসতে থাকে নানান উপদেশ৷ চিত্রনাট্য লেখেন৷ তা আবার ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন কেবিসির পঞ্চম সিজনের ৫ কোটির বিজেতা৷ কিন্তু, তাতেও মেলেনি সাফল্য৷

এরপর নিজেকে খুঁজতে থাকেন তিনি৷ বুঝতে পারেন, সফল এবং জনপ্রিয় মানুষ হওয়ার চেয়ে ভাল মানুষ হওয়া বেশি দামি৷ জীবনের এই চরম সত্যিটা উপলব্ধি করে ২০১৬ সালে মুম্বই থেকে চম্পারণ ফিরেন৷ মদের নেশা ছেড়ে শিক্ষক হিসাবে নতুন জীবন শুরু করেন৷আজ চম্পারণে শিক্ষক হিসাবে সফল কেবিসি থেকে ৫ কোটির বিজেতা সুশীল৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *