হায়দরাবাদ: কবে আসবে প্রতিষেধক, তা জানতে তীর্থের কাকের মতো হাঁ করে বসে আছে গোটা দুনিয়া। কিন্তু কবে আসবে তার এখনও কোনও ঠিক নেই। এখনও ‘হিউম্যান ট্রায়াল’ পর্যায়ে আটকে রয়েছে একাধিক সংস্থার তৈরি প্রতিষেধক। সম্প্রতি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি প্রতিষেধক মানবদেহে প্রয়োগ করার পর ক্ষতিকর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল। এর ফলে বড়সড় ধাক্কা লাগে চিকিৎসা গবেষণা মহলে। এবার আরও একটি ধাক্কা দিলেন পৃথিবীর বৃহত্তম প্রতিষেধক সংস্থার চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার। তিনি জানালেন দুনিয়ার সবার কাছে প্রতিষেধক পৌঁছতে ২০২৪ সালের শেষ পর্যন্ত লেগে যাবে।
পুনে স্থিত সিরাম সংস্থার সিইও আদর পুনাওয়ালার এই বক্তব্যে নতুন করে আশাহত হয়েছে আম আদমি। সিরামের ১০০ কোটি ডোজ প্রতিষেধক বানাতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে অ্যাস্ট্রোজেনেকা এবং নোভাভ্যাক্স। এর মধ্যে ৫০ শতাংশ প্রতিষেধক ভারতীয়দের জন্য রক্ষিত থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। শোনা যাচ্ছে রাশিয়ান সংস্থা গামালেয়ার তৈরি স্পুটনিক ভ্যাক্সিন তৈরিতেও চুক্তিবদ্ধ হতে পারে সিরাম। বৃহত্তম প্রতিষেধক তৈরির সংস্থার কর্তার কথা আদৌ ফেলে দেওয়ার নয়। প্রতিষেধক উৎপাদন এবং বিতরণের বিষয়গুলি সম্পর্কে তাঁর ধারণা জলের মতো স্বচ্ছ। প্রশ্ন অন্য জায়গায়।
আদর পুনাওয়ালার কথা সত্যি মানলে দেশের একাধিক রাজনৈতিক নেতাদের দাবি অসত্য বলে মানতে হবে। ইতিমধ্যেই বহু নেতা নেত্রী বলে দিয়েছেন, এক মাসের মধ্যে চলবে প্রতিষেধক। বোঝাই যাচ্ছে সেরকম কোনও সম্ভাবনাই। তাছারা বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন ইউরোপ আমেরিকা থেকে প্রচুর পরিমাণ অগ্রিম বুকিং হয়ে যাবে। বলে উন্নয়নশীল দেশগুলির প্রতিষেধক পেতে অপেক্ষা করা ছাড়া কোনও উপায় থাকবে না। ১৪০ কোটি জনসংখ্যার ভারতে সবার কাছে পরিকল্পিত ভাবে প্রতিষেধক পৌঁছনোরও কোনও ভাল পরিকল্পনা এখনও চোখে পড়েনি তাঁর।