“দেশটা বিশ্বাসের উপর চলে না”, প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসেও অনড় রাকেশ টিকাইত

“দেশটা বিশ্বাসের উপর চলে না”, প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসেও অনড় রাকেশ টিকাইত

798e5c3acbffb1db82d04ab5914876ca

নয়াদিল্লি: কৃষকদের জন্য পণ্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু আন্দোলনকারী কৃষকরা যে কোনোরকম মুখের কথায় আস্থা রাখছে না, এদিন আরো একবার তা নিশ্চিত করলেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত। প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের পরেই এল তাঁর জবাব।

আরও পড়ুন- বিধানসভার শেষ অধিবেশনে কেন্দ্রকে তুলোধোনা মুখ্যমন্ত্রীর, দিলেন ফিরে আসার বার্তা

দেশটা কোনো বিশ্বাসে চলে না, চলে আইনকানুনের দ্বারা, প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের জবাবে এদিন এমনটাই জানালেন আন্দোলনকারী কৃষক সংগঠনের অন্যতম নেতা রাকেশ টিকাইত। এর আগে রাজ্যসভায় এ বিষয়ে এক বিতর্কের উত্তর দিতে গিয়ে কৃষকদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন তাঁদের মান্ডি অর্থাৎ বাজারে আনা হবে আধুনিকতা, নিশ্চিত করা হবে পণ্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য। “এমএসপি (Minimum support price) ছিল, এমএসপি আছে, এমএসপি থাকবে”, বলেন তিনি।  কিন্তু এমন আশ্বাস বাণীতে কৃষকরা আর ভুলছেন না, এদিন সে কথাই স্পষ্ট করলেন রাকেশ টিকাইত।

এদিন প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস বাণীর পরিপ্রেক্ষিতে কথা বলতে গিয়ে ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের প্রধান রাকেশ টিকাইত বলেন, প্রধানমন্ত্রী যখন আশ্বাস দিচ্ছিলেন তখন তিনি কোনো আইনের মাধ্যমে এমএসপি নিশ্চিত করা হবে কিনা তা উল্লেখ করেননি। তাঁর কথায়, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এমএসপি ছিল, আছে আর থাকবে। কিন্তু তিনি বলেননি যে এ ব্যাপারে আইন তৈরি করা হবে। দেশটা তো বিশ্বাসের উপর চলে না। চলে আইন আর সংবিধানের উপর।”

আরও পড়ুন- রাজ্যের ক্রীড়াবিদদের জন্য তাক লাগানো ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

বস্তুত, কেন্দ্রীয় সরকারের তিনটি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলনের মূল কারণই হল এমএসপি বা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য সংক্রান্ত তাঁদের আশঙ্কা। তাঁরা মনে করেন নতুন আইন কার্যকর হলে উৎপন্ন পণ্যের বাজারদর পড়ে যাবে। যদিও সরকারের তরফ থেকে এমএসপি নিশ্চিত করে এর আগেও একাধিক আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, সোমবার আন্দোলনরত কৃষক সংগঠনগুলি সরকারের সঙ্গে কথা বলার জন্য একটি তারিখ নির্দিষ্ট করার কথা বলেছে। প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং তাঁদের আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *