বিধানসভার শেষ অধিবেশনে কেন্দ্রকে তুলোধোনা মুখ্যমন্ত্রীর, দিলেন ফিরে আসার বার্তা

বিধানসভার শেষ অধিবেশনে কেন্দ্রকে তুলোধোনা মুখ্যমন্ত্রীর, দিলেন ফিরে আসার বার্তা

 

কলকাতা: সোমবার রাজ্যে ভোটপূর্ব অন্তর্বর্তী বাজেটের শেষ দিন ছিল৷ আজ ছিল ১৬ তম বিধানসভার শেষ অধিবেশন। এদিন জবাবি ভাষণ দিতে গিয়ে কেন্দ্রকে কার্যত তুলোধোনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দৃঢ় এবং স্পষ্ট ভাষায় বললেন, “২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলই বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরে আসবে।”

রবিবার হলদিয়ার কর্মী সভায় যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘কিষান সম্মান নিধি’ প্রকল্প নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে আক্রমণ করেন। সোমবার বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনের জবাবি ভাষণে সেই আক্রমণের পাল্টা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “২২ লক্ষ কৃষকের নাম রয়েছে কেন্দ্রের পোর্টালে। তার মধ্যে রাজ্যকে ৬ লক্ষ কৃষকের নাম পাঠিয়েছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই তার মধ্যে থেকে আড়াই লক্ষ নাম ভেরিফিকেশন করে কেন্দ্রকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাদের নাম পাঠানো হয়েছে তাদের আগে টাকা দিতে শুরু করুক কেন্দ্র। বাকি নামও আমরা ধাপে ধাপে সার্ভে করে পাঠিয়ে দেবো।”

সোমবার রাজ্য সরকারের চলতি বাজেটকে নিজের দীর্ঘ রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের সবচেয়ে নজিরবিহীন হিসেবে উল্লেখ করলেন কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান। সোমবার বাজেট অধিবেশনের শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন বক্তব্য রাখার সময় কংগ্রেস পরিষদীয় নেতা আব্দুল মান্নান জানান, “দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক জীবনে এবারের মত নজিরবিহীন বাজেট অধিবেশন আর দেখিনি। রাজ্যপালের ভাষণ ছাড়াই যেভাবে বাজেট পেশ হল তা অগণতান্ত্রিক।”

বিধানসভার গত কয়েকটি অধিবেশনে বিরোধীদের যেভাবে গুরুত্বহীন করে রাখা হয়েছে তা ‘অসংসদীয়’ বলে অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস নেতা মান্নান। তার কথা সুর ধরেই দলত্যাগ ও দলত্যাগীদের ভিড়ে বিধানসভা অনেকটা কলঙ্কিত হয়েছে বলে দাবি করলেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী। অন্যদিকে, শনিবারই বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, সোমবার নির্বাচনের রীতি মেনে ১৬তম অধিবেশনের শেষ দিনে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিধায়কদের ফটোসেশন হবে। তবে এদিন ‘অগণতান্ত্রিক’ বলে অভিযোগ তুলে বাম-কং জোটের বিরোধী বিধায়করা এই ফটোসেশন বয়কট করেন। যদিও বিজেপি সদস্যরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এই ফটোসেশনের যোগ দেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *