মুম্বই: করোনার ছুতো দেখিয়ে স্ত্রীকে ফেলে চম্পট দিলেন স্বামী৷ অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে ধরা পড়লেন পুলিশের জালে৷
ঘটনাটি নবি মুম্বইয়ের৷ সেখানেই থাকতেন ওই দম্পতি৷ কিন্তু হঠাৎ করেই গত জুলাই মাসে বেপাত্তা হয়ে যান ওই যুবক৷ মাঝে শুধু একটা ফোন৷ ‘করোনা হয়েছে আমার৷’ এর পর থেকে আর খোঁজ মেলেনি তাঁর৷ স্বামীর খোঁজ পেতে পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁর স্ত্রী৷ টানা এক মাস খোঁজ করার পর অবশেষে ইন্দোরে বান্ধবীর সঙ্গে হাতেনাতে ধরা পড়েন ওই যুবক৷ তাঁকে ফিরিয়ে আনা হয় নভি মুম্বইয়ে৷ এর পর ২৮ বছরের ওই যুবককে তাঁর স্ত্রীর হাতে তুলে দেয় পুলিশ৷
আরও পড়ুন- চিনা আগ্রাসনে ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে ভারতীয় সেনা, রাজ্যসভা প্রতিক্রিয়া প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
জানা গিয়েছে, গত ২৪ জুন শেষ বার ফোন এসেছিল তাঁর৷ স্ত্রীকে ফোনে জানিয়েছিলেন তাঁর কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে৷ তিনি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন৷ কিন্তু তিনি কোথায় রয়েছেন, কী করছেন, সে বিষয়ে কোনও কথাই জানাননি৷ ওই টুকু জানিয়েই ফোন কেটে দেন৷ তার পর থেকেই সুইচ অফ হয়ে যায় ওই যুবকের ফোন৷ কোনও ভাবেও ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি তাঁর সঙ্গে৷ এক দিন রাস্তায় ওই যুবকের মোটরবাইকটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তাঁর শ্যালক৷ এর পরেই থানায় নিখোঁজ ডায়েরি লেখায় তাঁর পরিবার৷ খোঁজ শুরু করে পুলিশ৷
আরও পড়ুন- মোদীর জন্মদিনে ‘জাতীয় বেরোজগার দিবস’ পালন! বেকারত্বের প্রতিবাদ যুবাদের
প্রতিটি করোনা টেস্টিং সেন্টার, হাসপাতালে তাঁকে খোঁজা হয়৷ তল্লাশি চালানো হয় ভাসির খাতেও৷ কারণ ভাসি থেকেই উদ্ধার হয়েছিল ওই যুবকের বাইকটি৷ কিন্তু কোনও হদিশ মেলেনি৷ ফোন বন্ধ থাকায়, তাঁর খোঁজ পাওয়া অত্যন্ত কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছিল৷ কিন্তু অবশেষে গত সপ্তাহে ইন্দোর থেকে উদ্ধার হয় ওই যুবকের ফোন৷ জানা যায়, সেখানে ভুয়ো পরিচয়ে প্রেমিকার সঙ্গে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকছিলেন তিনি৷ এর পরেই ফাঁস হয়ে যায় তাঁর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা৷ জানা যায়, আসলে করোনা নয়, প্রেমিকার জন্যই স্ত্রীকে ফেলে পগারপার হয়েছিলেন তিনি৷ তবে শেষ রক্ষা আর হল না৷ অতঃপর ধরা পড়লেন প্রেমিকার সঙ্গে!