বারাণসী: উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের সম্প্রসারিত অংশের উদ্বোধনে এসে নাম না করেই বাংলাকে বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ রাজ্যে কেন্দ্রের কৃষক প্রকল্পগুলি চালু না করায় তোপ দাগলেন তিনি৷
আরও পড়ুন- নিজাম শহরের নাম বদলে তুঙ্গে তরজা, বিজেপি-মিমের ‘গোপন আঁতাত’ বদলাল ‘সংঘাতে’
এদিন নাম না করেই নমো বলেন, ‘‘একটি রাজ্য এতটাই মিথ্যে প্রচার চালাচ্ছে যে কৃষকরাও বলছেন তাঁরা ২ হাজার টাকা চান না৷ মুখে কৃষকের নামে তাঁরা বড় বড় কথা বলছেন৷ অথচ প্রধানমন্ত্রী কিসান সম্মান নিধি যোজনা তাঁর রাজ্যে লাগুই হতে দেননি৷ আসলে তাঁরা শঙ্কিত৷ তাঁরা ভাবছেন, এই টাকা কৃষকদের হাতে পৌঁছে গেলে মোদীর জয়জয়কার শুরু হয়ে যাবে৷ তাঁদের রাজনীতিই শেষ হয়ে যাবে৷ রাজনীতির ক্ষুদ্র স্বার্থের জন্যই কৃষকদের বঞ্চিত করা হচ্ছে৷ কৃষকদের পকেটে পৌঁছচ্ছে না তাঁদের প্রাপ্য টাকা৷’’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘ওই রাজ্যের কৃষকদের বলতে চাই আগামী দিনে আমাদের সরকার গঠিত হলেই এই টাকা দিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলব৷’’ দেশের দশ কোটি কৃষকের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠানো হবে বলেও এদিন জানান নমো৷ তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কিসান সম্মান নিধির মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া ক্রমাগত চলছে৷ বছরে তিনবার এই টাকা দেওয়া হয়৷ এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষ কোটি টাকা সরাসরি কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে গিয়েছে৷
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষকদের জন্য পেনশন যোজনা হিসাবে পিএম কিষাণ মানধন যোজনা লাগু করা হয়েছে৷ খুব কম সময়ের মধ্যেই ২১ লক্ষ কৃষক পরিবার এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে৷ একইভাবে কৃষকদের স্বার্থে নতুন আইন প্রবর্তন করা হয়েছে৷ কৃষকদের ন্যায় বিচার দিতে এই আইন কতটা কার্যকর ভূমিকা পালন করছে আগামী দিনে তা সকলে অনুভব করবেন৷
আরও পড়ুন- পাঁচ দিনে পড়ল কৃষক প্রতিবাদ, দিল্লি অবরুদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা
এদিকে কেন্দ্রের আনা এই সংশোধিত কৃষি বিলের বিরুদ্ধেই তোলপাড়া পঞ্জাব-হরিয়ানা৷ আন্দোলনের আঁচে পুড়ছে রাজধানী দিল্লি৷ এরই মধ্যে রবিবার কৃষি বিলের পক্ষে ব্যাট ধরেন নমো৷ রবিবার সন্ধ্যায় ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, এই সংস্কার সম্ভাবনার নতুন দরজা খুলে দিয়েছে৷ যাঁরা কৃষি নিয়ে পড়াশোনা ও গবেষণা করছেন তাঁদের গ্রামে গ্রামে গিয়ে এই আইন সম্পর্কে সচেতনতা জাগিয়ে তোলার আর্জিও জানান তিনি৷ তাঁর কথায়, এই আইন কৃষকদের সমস্ত অভাব অভিযোগ এক মাসের মধ্যে নিরসন করবে৷ কৃষকদের দীর্ঘ দিনের দাবি পূরণ করা হয়েছে৷ তাঁর দাবি, এই আইনের ফলে এক মাসের মধ্যে কৃষকদের যাবতীয় অভিযোগের সমাধান করা হবে৷ এমনই নির্দেশ থাকবে মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেটদের উপর৷ কোনও বকেয়া থাকলেও এক মাসের মধ্যে তা পেয়ে যাবে৷ এই আইনকে সঠিক ভাবে বুঝতে হবে৷ কৃষকরা যাতে ফসলের সঠিক দাম পান, সে দিকে লক্ষ্য রেখেই আইন তৈরি করা হয়েছে বলেও আশ্বাস্ত করেন প্রধানমন্ত্রী৷