নয়াদিল্লি: দেশের করোনা সংক্রমণ আপাতত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যদিও কমছে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা। তবে আজ কিছুটা বেড়েছে দৈনিক মৃত্যু। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা রয়েছে। মাঝে কয়েকদিন দেশের কোভিড গ্রাফ কিছুটা কম ছিল। মাঝে বেড়েছিল। কিন্তু এখন আবার কিছুটা কম। সার্বিকভাবে পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে হলেও অনুমান, আগামী কয়েক সপ্তাহ বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সচেতন হয়েই থাকতে হবে সাধারণ মানুষকে।
আরও পড়ুন- খরচ কোটিতে! উপনির্বাচনের ব্যয় নিয়ে আদালতে প্রশ্নের মুখে কমিশন
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড আক্রান্ত হয়েছে ৩১ হাজার ৩৮২ জন। একদিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩১৮ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার কবল থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩২ হাজার ৫৪২ জন। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে দেশে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ লক্ষ ১৬২ জন। দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৩ কোটি ৩৬ লক্ষ ৯৪ হাজার ৮০৩ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ২৮ লক্ষ ৪৮ হাজার ২৭৩ জন। আর ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে দেশের মোট ৪ লক্ষ ৪৬ হাজার ৩৬৮ জন। আরও বড় স্বস্তি ‘আর’ ভ্যালু কমে যাওয়ায়। অগাস্টের শেষ এই ভ্যালু ছিল ১.১৭, এখন তা দাঁড়িয়েছে ০.৯২ তে। যদিও মুম্বই, কলকাতা, চেন্নাই ও বেঙ্গালুরুতে এখনও আর ভ্যালু একের বেশি। উল্লেখ্য, ‘আর’ ভ্যালু হল একজন করোনা আক্রান্তের সংক্রমিত করার হার।
আরও পড়ুন- ভবানীপুর উপনির্বাচন নিয়ে কমিশনের হলফনামা নিয়ে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের
এদিকে চরম সুখবর দিয়েছেন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষক ডেম সারা গিলবার্ট। তিনি জানাচ্ছেন, জিনের গঠনমূলক পরিবর্তনের ফলেই এমনটা হতে চলেছে। ভবিষ্যতে করোনার আরও বেশি প্রাণঘাতী হওয়ার আশঙ্কা একেবারেই কম বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি আরও বলছেন, আগামী দিনগুলিতে করোনা ভাইরাস আরও দুর্বল হতে থাকবে এবং শেষমেষ সেটি সাধারণ ‘ফ্লু’ ভাইরাস হয়ে থেকে যাবে। অন্যদিকে, মারণক্ষমতাও হ্রাস পাবে এই ভাইরাসের। তবে এর মাঝেও বিপদসঙ্কত যে, এই বছর করোনার সঙ্গে ফ্লু ভাইরাস অর্থাৎ ইনফ্লুয়েঞ্জাও অন্যান্য বছরের থেকে বেশি বৃদ্ধি পাবে। এটিকেই বলা হচ্ছে, ‘টুইনডেমিক’, অর্থাৎ দুটি মহামারি একসঙ্গে।