কাবুল: জঙ্গি ভেবে হামলা করা হয়েছিল, কিন্তু পরে জানা যায় তারা কেউ জঙ্গি ছিল না! কিন্তু ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। প্রাণ হারিয়েছে ৭ শিশু সহ ১০ আফগান নাগরিক। এখন ‘ভুল করে’ তাঁদের হত্যা করে ক্ষমা চাইছে আমেরিকা। গোটা ঘটনা নিজে মুখেই সেকথা স্বীকার করে নিয়েছেন মার্কিন প্রতিনিধি। একই সঙ্গে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েচ্ছে।
আরও পড়ুন- পুজোর মরশুমে সুখবর! আজ থেকে শুরু হচ্ছে ‘দুয়ারে রেশন’
গত ২৯ অগস্ট সন্ধ্যায় কাবুলে একটি গাড়ি লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালায় আমেরিকা। তারা দাবি করে ওই গাড়িতে করে নাশকতার জন্য যাচ্ছিল আইসিস জঙ্গিরা। কিন্তু এখন আমেরিকা জানাচ্ছে, তাঁদের কাছে ভুল খবর ছিল। ওই গাড়িতে কোনও জঙ্গি ছিল না! ‘ভুলবশত’ এই হামলা করে তারা। যার ফলেই মৃত্যু হয় ওই শিশু সহ বাকিদের। পেন্টাগনের বক্তব্য, সুত্র মারফত তাঁরা জানতে পেরেছিল, সাদা এক টয়োটা গাড়ি করে জঙ্গিরা যাচ্ছিল। সেই গাড়ির গতিবিধি লক্ষ্য করে হামলা চালায় তাঁরা। এই হামলার পরেই কাবুলের এক বাসিন্দা দাবি করেন যে, তাঁদের পরিবারের ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই দাবিই এত দিনে মেনে নিল আমেরিকা। এখন তাঁরা জানাচ্ছে, এই ভুল থেকে তাঁরা ভবিষ্যতে শিক্ষা নেবে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যাপারে চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান হয়েছে পেন্টাগনের তরফে।
আরও পড়ুন- উচ্চ প্রাথমিক মেধা তালিকায় অভিযোগের পাহাড়! নিষ্পত্তিতে আরও ৩ মাস সময় চাইল SSC
যখন তালিবান কার্যত আফগানিস্তান দখল করে নিয়েছিল তখন মার্কিন সেনাবাহিনীর প্রচুর অস্ত্র এবং গাড়ি চলে যায় তালিবানের দখলে। তখন সার্বিকভাবে গোটা বিশ্ব উদ্বিগ্ন হয়ে গিয়েছিল কারণ তালিবানের হাতে এত পরিমাণ অত্যাধুনিক অস্ত্র চলে যাওয়ার মানে তারা জানে। তাই সেই ভুল যাতে না হয় তাই দেশে ফিরে যাওয়ার আগে মার্কিন সেনাবাহিনী আফগানিস্তানে যে সমস্ত কপ্টার রয়েছে সেগুলি সব নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে। তবে আইসিস জঙ্গিদের ক্রিয়াকলাপ নিয়ে আমেরিকা শুরু থেকেই নজর রাখছিল। সেই জঙ্গি দমন করতে গিয়ে যে এই রকম ভুল হবে তা হয়ত কেউই কল্পনা করেনি।