নয়াদিল্লি: সীমান্তে ক্রমাগত আগ্রাসী হয়ে উঠছে চিন৷ বারবার ভারতীয় ভূখণ্ড দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে তারা৷ শুধু ভারত নয়, এশিয়ার একাধিক দেশের সঙ্গেও সংঘাতে জড়িয়েছে শি জিংপিং-এর দেশে৷ চিনের এই বিস্তারবাদ নীতিকে একেবারেই ভালো চোখে দেখছে না নয়াদিল্লি৷ এই পরিস্থিতিতে জাপানের সঙ্গে নিজেদের সামরিক সম্পর্ক আরও মজবুত করল ভারত৷ দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা বাড়িয়ে তুলতে প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করল নয়াদিল্লি ও টোকিও।
আরও পড়ুন- বড় ধাক্কা! ভারতেও বন্ধ অক্সফোর্ড টিকার ট্রায়াল, বিপাকে পড়ে ঘোষণা সেরামের
দিল্লিতে ‘দা অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড ক্রস-সার্ভিসিং অ্যাগ্রিমেন্ট’ (ACSA) চুক্তি সাক্ষর করেন ভারতের প্রতিরক্ষা সচিব অজয় কুমার এবং জাপানের রাষ্ট্রদূত সুজুকি সতোশি৷ এই চুক্তি অনুসারে, দ্বিপাক্ষিক সমঝোতায় ভারতীয় ও জাপানি সেনা যে কোনও প্রয়োজনে পরস্পরকে রসদ সরবরাহ করবে৷ একে ওপরের সামরিক পরিকাঠামো ব্যবহারের সুবিধাও পাবে তারা।
এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে৷ বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে টেলিফোনে কথাও বলেন তাঁরা৷ প্রায় ৩০ মিনিট ধরে চলে তাঁদের কথোপকথন৷ এই চুক্তির ফলে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও সুরক্ষা বজার থাকবে বলেই তাঁদের মত৷ দু’দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার জন্য জাপানের প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি ও তাঁর নেতৃত্বের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন নমো৷ ভারত ও জাপানের সম্পর্ক আরও মজবুত করতে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ বাড়ানোর উপরেও জোর দিয়েছেন দুই রাষ্ট্রনেতা৷
আরও পড়ুন- এটাই শেষ সুযোগ, EMI ছাড় নিয়ে দু’সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিন: সুপ্রিম কোর্ট
কোভিড পরিস্থিতিতে একে অপরের নাগরিকদের সহায়তা দেওয়ার জন্যও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তাঁরা৷ ভারত ও জাপানের মধ্যে এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আগামী দিনে একই ভাবে বজায় থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন দুই রাষ্ট্রনেতা৷ প্রসঙ্গত, শারীরিক অবস্থার জন্য দিন কয়েক আগেই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন শিনজো আবে৷ যদিও জাপানের বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, জাপানের নেতৃত্বে পরিবর্তন ঘটলেও ভারত-জাপান সম্পর্কে তার কোনও প্রভাব পড়বে না৷
এর আগে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর এবং অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গেও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ভারত। এর ফলে দ্বিপাক্ষিকভাবে এই দেশগুলির সঙ্গে ভারতও নিজের শক্তি বৃদ্ধি করেছে। এই চুক্তির ফলে ওই দেশগুলির নৌসেনা ঘাঁটি ব্যবহার করতে পারবে ভারতীয় নৌবাহিনী। পাশাপাশি, ভিয়েতনামের সঙ্গে ক্রমশ সামরিক সহযোগিতা বাড়িয়ে চলেছে নয়াদিল্লি৷