নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার শো-কজ নোটিশ পাওয়ার পর অবশেষে ভারতে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল সেরাম ইনস্টিটিউট। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয় সংস্থার পক্ষ থেকে। বিবৃতি অনুসারে, তাঁরা বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখবে এবং যতদিন পর্যন্ত অ্যস্ট্রাজেনেকা ট্রায়াল শুরু না করছে ততদিন ভারতেও কোভিশিল্ড-এর ক্লিনিকাল ট্রায়াল বন্ধ রাখা হবে। তাঁরা আরও জানিয়েছে, ডিজিসিআই-এর নির্দেশ অনুসারে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার ডিজিসিআই তাদের শো-কজ নোটিশে উল্লেখ করেছিল যে, ভারতে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়াল শুরু করেছে যে সংস্থা, তাদের তরফে অ্যস্ট্রাজেনেকার ট্রায়াল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা কিছুই জানানো হয়নি কেন্দ্রের লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষকে।
বুধবার ভারতে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়ালের আয়োজক ও প্রস্তুতকারী সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট জানিয়েছিল যেহেতু এখানে ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে কারো শরীরে তেমন কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। তাই ভারতে এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল জারি থাকবে।
সম্প্রতি এই ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়ালে অংশ গ্রহণকারী ব্রিটেনের এক স্বেচ্ছাসেবকের দেহে মারাত্মক বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এরপরেই মঙ্গলবার সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আপাতত এই ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়াল বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। আমেরিকা, ব্রিটেন,ব্রাজিল ও দঃ আফ্রিকা এই চারটি দেশ এই ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়াল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই ডিজিসিআইয়ের অনুমোদন নিয়ে দেশে কোভিশিল্ড-এর ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে। অক্সফোর্ডের সঙ্গে যৌথভাবে এই ভ্যাকসিন উৎপাদন করছে এই সংস্থা। পুনের ভারতী হসপিটালে দ্বীতীয় পর্যায়ের প্রথম ট্রায়াল শুরু হয়। এরপর ভারুর কেইএম হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে ও এই ট্রায়াল হয়েছে। পুনের বিজে মেডিক্যাল কলেজেও ট্রায়াল শুরু হয়েছিল। এমনই মোট ১৭ টি জায়গা নির্দিষ্ট করা হয়েছে এই ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়ালের জন্য।