এটাই শেষ সুযোগ, EMI ছাড় নিয়ে দু’সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিন: সুপ্রিম কোর্ট

এটাই শেষ সুযোগ, EMI ছাড় নিয়ে দু’সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিন: সুপ্রিম কোর্ট

 

নয়াদিল্লি: করোনা পরিস্থিতিতে ৬ মাসের জন্য ঋণের কিস্তি স্থগিত বা ইএমআই মোরাটোরিয়ামের সুযোগ দিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)৷ কিন্তু দেখা যায় যাঁরা এই সুবিধা নিয়েছেন, তাঁদের সুদের উপর সুদ গুণতে হবে৷ ঋণগ্রহীতাদের বাড়তি সুদ গুণতে হবে কিনা, তা নিয়ে মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে৷ আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্র ও আরবিআইকে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা শীর্ষ আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল বিচারপতি অশোক ভূষণের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ। 

আরও পড়ুন- গেম চেঞ্জার রাফালের অন্তর্ভুক্তি সারা বিশ্বের কাছে কড়া বার্তা: রাজনাথ সিং

 

বৃহস্পতিবার তিন সদস্যের বেঞ্চ জানায়, ‘‘এই দুই সপ্তাহের মধ্যে কী ঘটতে চলেছে? আমরা কেন্দ্রকে এই দুই সপ্তাহ সময় দিয়েছি৷ এর মধ্যে তাদের সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে৷’’ এই মামলা মুলতুবি রাখার আবেদন খারিজ করে বেঞ্চ জানায়, এই বিষয়ে স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছতে কেন্দ্র ও আরবিআই-এর কাছে এটাই শেষ সুযোগ৷ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অশোক ভূষণ, আর সুভাষ রেড্ডি এবং এমআর শাহের বেঞ্চ জানায়, “ঋণগ্রহীতাদের স্বস্তি দিতে সরকারকে তথ্যসমূহ বিবেচনা করতে হবে”। সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে ফের এই মামলার শুনানিরদিন ধার্য করেছে শীর্ষ আদালত। 

 

করোনা সংক্রমণ রুখতে গত ২৫ মার্চ থেকে দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করা হয়৷ যার জেরে সমস্যায় পড়ে সাধারণ মানুষ৷ এই সমস্যা কিছুটা লাঘব করতেই তিন মাসের জন্য ইএমআই মোরাটোরিয়ামের কথা ঘোষণা করে আরবিআই৷ পরে আরও তিন মাস ঋণের কিস্তি স্থগিত রাখার মেয়াদ বাড়ানো হয়৷ গত ৩১ অগস্ট সেই মেয়াদ শেষ হয়েছে।

আরও পড়ুন- চিন বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি! রাফাল নিয়ে তৈরি ভারতীয় সেনা

 

প্রাথমিক ভাবে ঋণের কিস্তি স্থগিত রাখার ঘোষণায় স্বস্তি পেয়েছিল ঋণগ্রহীতারা৷  কিন্তু কয়েকদিন পরেই বোঝা যায়, এতে সাময়িক স্বস্তি হলেও ঋণের মেয়াদ শেষে গিয়ে অনেক বেশি টাকা ঘাড়ে চাপবে৷ অর্থাৎ এই ছ’মাসের ঋণের সুদের উপরেও সুদ দিতে হবে গ্রাহকদের। এর পরই এই বিষয়ে একাধিক মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে৷ মামলাকারীদের দাবি, এই ছ’মাসের জন্য সুদ এবং সুদের উপর সুদ দু’টোই মকুব করতে হবে। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানিতে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আরও ১৪ দিনের সময়সীমা বেধে দিল শীর্ষ আদালত৷ 

 

এদিন কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, এই বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে৷  ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও দু’-তিন বার বৈঠক করা হয়েছে৷ ঋণগ্রহীতাদের কী ভাবে স্বস্তি দেওয়া যায়, সে বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে৷  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *