নয়াদিল্লি: আরব সাগর পাড়ে গোয়া বা বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ে মদ্যপানের চল যে অনেকটাই বেশি, তা কারও অজানা নয়৷ কিন্তু শুনতে অবার লাগলেও গোয়া বা মহারাষ্ট্রের চেয়ে অনেক বেশি মদের নেশায় ডুবে থাকেন ‘ড্রাই স্টেট’ বিহারের মানুষ! হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন৷ সম্প্রতি ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে ২০১৯-২০ তে উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য৷
আরও পড়ুন- বিজয় দিবস: ১৯৭১ সালে এই ঐতিহাসিক দিনেই ভারতীয় সেনার কাছে আত্মসমর্পন করেছিল পাকিস্তান
রিপোর্ট বলছে, গোয়া বা মহারাষ্ট্র তো বটেই দক্ষিণী রাজ্য তেলেঙ্গানাকেও পিছনে ফেলেছে বিহার৷ এখানকার পুরুষরা সবচেয়ে বেশি কারণ সুধায় মজে৷ মদ্যপান নিয়ে তেলেঙ্গানার বেশ বদনাম রয়েছে৷ কিন্তু যে রাজ্যে মদ নিষিদ্ধ সে রাজ্যেই চলছে সবচেয়ে বেশি মদ্যপান৷ বিহারে চোরাই পথে মদ সরবরাহের সমস্যা নতুন নয়৷ নীতীশ কুমার বিহারের মদ নিষিদ্ধ করার পর থেকেই চলছে এই চোরাই কারবার৷ অতিরিক্ত টাকা দিয়েই কিনতে হয় মদ৷ সেই দিক থেকে দেখলে গুজরাত এবং জম্মু ও কাশ্মীরের পুরুষরা অনেক কম মদ্যপান করেন৷ অন্যদিকে ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে ২০১৯-২০ অনুযায়ী তামাক সেবনে এগিয়ে রয়েছে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি৷
২০১৫-১৬ সালের সমীক্ষার সঙ্গে নতুন সমীক্ষার তুলনা করা সম্ভব নয়৷ তাই দেশে কিংবা ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যে তামাকজাত দ্রব্য বা মাদক সেবনে কতটা পরিবর্তন এসেছে সেটাও বলা সম্ভব নয়৷ ২০১৫-১৬ সালে ১৫ থেকে ৪৯ বছরের মানুষের মধ্যে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল৷ ২০১৯-২০ সালে পনেরো উর্ধোদের উপর এই সমীক্ষা করা হয়েছে৷ অন্যদিকে দেখা গিয়েছে মহিলাদের মধ্যে মদ্যপানের পরিমাণ অনেকটাই বেশি সিকিম (১৬.২ %) এবং অসমে (৭.৩%)৷ তবে মাদক সেবনের তালিকায় সার্বিক ভাবে শীর্ষ স্থানে রয়েছে তেলেঙ্গানা৷ এর পর যথাক্রমে রয়েছে সিকিম, মনিপুর এবং গোয়া৷ ১৫+ ছেলেমেয়েদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মদের নেশা রয়েছে উত্তরপূর্বের রাজ্য মিজোরাম, মণিপুর, মেঘালয় এবং ত্রিপুরায়৷
আরও পড়ুন- কৃষকদের প্রতিবাদ ৫ মিনিটে থেমে যেতে পারে! কীভাবে থামবে, ব্যাখ্যা দিলেন রাউত
আরও একটি চমকে দেওয়ার মতো তথ্য উঠে এসেছে ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে ২০১৯-২০ তে৷ দেখা গিয়েছে শহরাঞ্চলের চেয়ে মদ্যপানের নেশা অনেকটাই বেশি গ্রামাঞ্চলের মহিলাদের মধ্যে৷ আবার উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলিতে মদ্যপানের চেয়েও বেশি মাত্রায় চলে তামাক সেবন৷ সবচেয়ে বেশি তামাকজাত দ্রব্য সেবন করে মিজোরামের মানুষ (৭৭.৮% পুরুষ এবং ৬২% মহিলা)৷