নয়াদিল্লি: নতুন কৃষি আইন প্রবর্তন করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। তারপর থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে গণ আন্দোলন। কৃষি বিক্ষোভের যে চিত্র দেশে ধরা পড়েছে তা অবশ্যই ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে দেশ তথা বিশ্বের একাধিক জায়গায়। কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন কৃষিবিদের বিরোধিতায় সড়ক হওয়া কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে অন্যান্য দেশের নেতৃত্বও। কৃষকদের একটাই দাবি, নতুন এই কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে। তার জন্য সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথাও বলেছে তারা। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড়। বৈঠক হলেও সুরাহা মেলেনি। কিন্তু শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত মনে করেন এই কৃষি আন্দোলন ৫ মিনিটের মধ্যে থেমে যেতে পারে! কিভাবে, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি।
সঞ্জয় মনে করেন, কেন্দ্রীয় সরকার চাইলেই এই কৃষি আন্দোলন কয়েক মিনিটের মধ্যে থেমে যেতে পারে। এর জন্য শুধুমাত্র কৃষকদের সঙ্গে তাদের আধ ঘণ্টার বৈঠক করতে হবে। কৃষকদের সঙ্গে যদি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং বৈঠক করতে বসে যান, তাহলে দেশজুড়ে বাড়তে থাকায় কৃষি আন্দোলন ৫ মিনিটের মধ্যেই স্তব্ধ হয়ে যেতে পারে। শিবসেনা সাংসদ জানাচ্ছেন, নরেন্দ্র মোদী একজন এত বড় নেতা, তিনি যদি নিজে থেকে কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তাহলে সকলেই তাঁর কথা শুনবে। প্রধানমন্ত্রী নিজে থেকে যদি কৃষকদের সঙ্গে আলোচনার জন্য পা বাড়ান, তাহলে আন্দোলন ভবিষ্যতে বড় আকার ধারণ তো করবেই না উল্টে কয়েক মিনিটের মধ্যে বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
সঞ্জয় রাউতের কথায় যুক্তি থাকলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কোন ভাবেই এখনো পর্যন্ত কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক করার ইঙ্গিত দেননি। উল্টে একাধিকবার বিভিন্ন ইস্যুতে বক্তৃতা রাখতে গিয়ে তিনি নতুন কৃষি আইনের সমর্থনেই মুখ খুলেছেন। বারবার তিনি দাবি করেছেন, নতুন কৃষি আইন কৃষকদের অধিকার ছিনিয়ে নেবে না বরং তাদের জন্য ভালো দিন আনবে। কেউ কারুর অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে না বলেও দাবি করেছেন তিনি। যদিও কৃষকদের বক্তব্য,কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারের এই নতুন কৃষি আইন একেবারে অনৈতিক, কৃষকদের পরিপন্থী। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই হাজার হাজার কৃষক পঞ্জাব এবং হরিয়ানা থেকে এসে নয়াদিল্লিতে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন। ভারতের কৃষি বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে কানাডার মত দেশেও। দেশের বিরোধী দলগুলি তো বটেই, বিদেশের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব কৃষি বিক্ষোভকে সমর্থন জানিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই আন্দোলনের রূপ কোন দিকে যাবে তা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না, কারণ কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত ইতিবাচক কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়নি।