বাঁধনহারা উচ্ছ্বাস সিঙ্ঘু-টিকরিতে, কোথাও স্লোগান, কোথাও মিষ্টি…

বাঁধনহারা উচ্ছ্বাস সিঙ্ঘু-টিকরিতে, কোথাও স্লোগান, কোথাও মিষ্টি…

নয়াদিল্লি: দীর্ঘ ১৮ মাসের লড়াই আজ শেষ হয়েছে। ‘হার’ স্বীকার করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ সকালেই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে এই ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই বাঁধনহারা উচ্ছ্বাস সিঙ্ঘু-টিকরিতে। শীতের আমেজ চলে এসেছে ইতিমধ্যেই, কিন্তু হঠাৎ করেই উত্তাপ বেড়েছে রাজধানীর। আনন্দের উত্তাপ, শান্তির উত্তাপ।

আরও পড়ুন- এবার কি তৃণমূলে বরুণ গান্ধী? মমতার দিল্লি সফরের আগে জল্পনা তুঙ্গে 

গত এক বছরে একটা দিনের জন্যেও ছেদ পড়েনি কৃষক আন্দোলনে৷ বহুবার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে৷ কিন্তু কোনও সমঝোতায় যেতে রাজি হননি কৃষকরা৷ তাঁরা নিজেদের অবস্থানে এককাট্টা থেকেছেন৷ কৃষি বিল আইনে পরিণত হতেই প্রতিবাদে ফেটে পড়েন পঞ্জাব, হরিয়ানা সহ প্রায় গোটা দেশের কৃষকরা৷ দিল্লি সীমান্তে আছড়ে পড়ে আন্দোলনের ঢেউ৷ কৃষকদের পিছু হঠানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় পুলিশ৷ ব্যারিকেড করে দেওয়া হয় টিকরি সীমান্ত৷ কৃষক আন্দোলনে অবরুদ্ধ হয় দিল্লি যাওয়ার রাস্তা৷  কিন্তু আজ সেই সব থেকেই মুক্ত হওয়ার দিন। সিঙ্ঘু এবং গাজিপুর সীমানায় আজ অন্যরকম ছবি। কেউ স্লোগান তুলছেন, ‘কৃষক জিন্দাবাদ’, ‘ইনকলাব জিন্দাবাদ’ বলে, কেউ আবার মিষ্টি বিতরণ করছেন। চারিদিকে হাসির রোল, তৃপ্তি, শান্তি। ২০২০-র ২৫ নভেম্বর রাজধানীতে আন্দোলনে বসেছিলেন কৃষকরা। সেই আন্দোলন আজ সার্থক হল।

আরও পড়ুন- অবশেষে পিছু হঠল কেন্দ্র, তিন বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা মোদীর

উল্লেখ্য, জাতির উদ্দেশে ভাষণে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘‘আমি দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইছি৷ আমাদের তপস্যাতে হয়তো খামতি ছিল৷ আমাদের উদ্দেশ্য অসৎ ছিল না৷ কিন্তু কৃষি আইনের সুফলের কথা আমরা কিছু কৃষককে বোঝাতে পারিনি৷’’ প্রধানমন্ত্রী জানান, সংসদের আসন্ন অধিবেশনেই এই আইন প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে৷ আন্দোলনরত কৃষকদের নিজেদের ঘরে ফিরে যাওয়ার আর্জিও জানান তিনি৷ নমো বলেন, ‘আসুন আন্দোলন ছেড়ে নয়া সূচনা করি৷ শীঘ্রই আমরা কৃষি আইন প্রত্যাহারের আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করব৷ আপনারা আপনাদের পরিবারের কাছে ফিরে যান৷ এখন আর দোষারোপের সময় নয়৷’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *