নয়াদিল্লি: গুরু নানকের জন্মদিনে কৃষকদের জয়৷ অবশেষে বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ প্রায় এক বছর ধরে কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন করছিলেন পঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকরা৷ শেষ পর্যন্ত তাঁদের আন্দোলনের জয় হল৷ পিছু হঠল কেন্দ্র৷
আরও পড়ুন- এবার কি তৃণমূলে বরুণ গান্ধী? মমতার দিল্লি সফরের আগে জল্পনা তুঙ্গে
শুক্রবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইছি৷ আমাদের তপস্যাতে হয়তো খামতি ছিল৷ আমাদের উদ্দেশ্য অসৎ ছিল না৷ কিন্তু কৃষি আইনের সুফলের কথা আমরা কিছু কৃষককে বোঝাতে পারিনি৷’’ প্রধানমন্ত্রী জানান, সংসদের আসন্ন অধিবেশনেই এই আইন প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে৷ আন্দোলনরত কৃষকদের নিজেদের ঘরে ফিরে যাওয়ার আর্জিও জানান তিনি৷ নমো বলেন, ‘আসুন আন্দোলন ছেড়ে নয়া সূচনা করি৷ শীঘ্রই আমরা কৃষি আইন প্রত্যাহারের আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করব৷ আপনারা আপনাদের পরিবারের কাছে ফিরে যান৷ এখন আর দোষারোপের সময় নয়৷’
গুরু নানকের জন্মদিবসে প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণা অত্যন্ত ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা৷ কারণ কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লির উপকণ্ঠে গত এক বছর ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন মূলত পঞ্জাব এবং পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা। তাঁদের অধিকাংশই শিখ এবং জাঠ জনগোষ্ঠীর অন্তর্গত৷ আগামী বছরের শুরুতেই ভোট রয়েছে পঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশে৷ তার আগে এই ঘোষণা নিশ্চিত ভাবেই তাৎপর্যপূর্ণ৷
এদিন নমো আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৮০ জনই ছোট কৃষক। তাদের জমির পরিমাণও ২ হেক্টরের কম। তাদের জীবন এই জমির উপরেই নির্ভরশীল। এমন কৃষকদের সংখ্যা প্রায় ১০ কোটি৷ তাই তাঁদের বীজ, বীমা, বাজার আর সেভিংসের জন্য কাজ করেছে কেন্দ্র। ফসল বীমা যোজনাকে আরও কার্যকরী করা হয়েছে। ফলন বাড়াতে কৃষকদের কিষাণ সয়েল হেলথ কার্ড দেওয়া হয়েছে। এমএসপি বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি কৃশকদের পাশে দাঁড়াতে সরকার রেকর্ড পরিমাণে ফসল কিনেছে৷’