হাথরাসকাণ্ডের মূল অভিুক্তর সঙ্গে নির্যাতিতার ভাইয়ের যোগ? উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

হাথরাসকাণ্ডের মূল অভিুক্তর সঙ্গে নির্যাতিতার ভাইয়ের যোগ? উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

8a9c34e0cea316ae1effc8ede1c9337a

লখনউ: হাথরাসকাণ্ডে উঠে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা তরুণীর ভাই ও ধর্ষণকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সন্দীপের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল৷ এমনকী ফোনে রীতিমতো কথাও হত তাঁদের৷ সন্দীপ এবং নির্যাতিতা তরুণীর ভাইয়ের ফোন কলের ডাটা রেকর্ড হাতে এসেছে জি নিউজের৷ তাঁদের রিপোর্ট অনুযায়ী, নির্দিষ্ট একটি নম্বরে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলত সন্দীপ৷ এবং ওই নম্বরটি নির্যাতিতা তরুণীর ভাইয়ের নামে নথিভুক্ত৷  

আরও পড়ুন- হাথরাসকাণ্ডের তদন্তে ঘটনাস্থলে সিট, ফের সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধের চেষ্টা পুলিশের

কল ডাটা খতিয়ে দেখা গিয়েছে, অক্টোবর ২০১৯ থেকে মার্চ ২০২০ পর্যন্ত এই দুটি নম্বরের মধ্যে পাঁচ ঘণ্টা কথোপকথন হয়েছে৷ যদিও সন্দীপের সঙ্গে ফোনে কথোপকথনের কথা অস্বীকার করেছেন নির্যাতিতার ভাই৷ কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে যদি নির্যাতিতার ভাই সন্দীপের সঙ্গে কথা না বলেন, তাহলে কার সঙ্গে কথা হত সন্দীপের? এই বিষয়ে তদন্ত করে আরও কিছু তথ্য হাতে এসেছে জি নিউজের৷ বুলগাড়ি গ্রামের কিছু বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে নির্যাতিতা তরুণী ও সন্দীপের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে ইঙ্গিত মিলেছে৷ অন্যদিকে, অভিযুক্তদের পরিবারের দাবি, তাদের ছেলেরা নির্দোষ৷ গণধর্ষণের কথাও অস্বীকার করেছে তারা৷ 

হাথরাসকাণ্ডের অপর এক অভিযুক্ত রামুর মা বলেন, এই ঘটনার সময় তাঁর ছেলে ডেয়ারি প্লান্টে কাজ করছিল৷ ওই ডেয়ারি ফার্মের মালিক নিজে জানিয়েছেন এই ঘটনার সময় তাঁর ফার্মেই ছিল রামু৷ হাথরাসের ঘটনায় তোলপাড় সারা দেশ৷ যোগী সরকারের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় উঠেছে৷ কিন্তু একটি প্রশ্ন এখনও থেকেই যাচ্ছে, ওই তরুণীকে কী সত্যই গণধর্ষণ করা হয়েছিল? কারণ আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় এবং দিল্লির সফদরজঙ্গ হাসপাতালের ফরেন্সিক রিপোর্টে ধর্ষণের কথা উল্লেখ করা হয়নি৷ তবে ওই রিপোর্টে শুধুমাত্র তাঁর উপর অত্যাচারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে৷ 

আরও পড়ুন- হাথরাসকাণ্ডে অভিযুক্তদের সমর্থনে গলা ফাটাচ্ছে ঠাকুররা, প্রকাশ্যে হুমকি ভীম সেনা প্রধানকে

এদিকে, হাথরাসকাণ্ডে তৃতীয় অভিযুক্ত রবি ঘটনার দিন গ্রামে ছিলেন না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷ বুলগাড়ি গ্রামের বাসিন্দা তথা এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ওমকার সিং বলেন, ‘‘১৪ তারিখ মাঠে যাওয়ার সময় সন্দীপ ও তার বাবাকে গরুকে জল দিতে দেখেছিলাম৷ সেই সময় মাঠ থেকে কান্নার শব্দ শুনতে পাই৷ দেখি ওই তরুণীর মা ও ভাই সেখানে দাঁড়িয়ে রয়েছে৷ মাটিতে পড়ে কাৎরাচ্ছে মেয়েটি৷ ওই তরুণীর ভাই তাঁকে শুধুমাত্র সন্দীপের নাম নেওয়ার জন্য বলেন৷’’ অন্যদিকে, চতুর্থ অভিযুক্ত লভকুশের মা বলেন, আহত অবস্থায় পড়ে থাকা ওই তরুণীকে জল দেওয়ার জন্য পাঠিয়েছিলেন তিনি৷ তাঁর ছেলেকে অন্যায়ভাবে ফাঁসানো হচ্ছে৷    

 
প্রসঙ্গত, গত ১৪ সেপ্টেম্বর হাথরাসের বছর ২০-র এক দলিত তরুণীর উপর নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে৷ তাঁর মৃত্যুর পর পরিবারের অনুমতি ছাড়াই তড়িঘড়ি দেহ সৎকার করে উত্তর প্রদেশ পুলিশ৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই তোলপাড় হয় গোটা দেশ৷ 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *