নয়াদিল্লি: দেশে বিদ্যুৎগতিতে বেড়ে চলেছে করোনা সংক্রমণ৷ প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা নতুন রেকর্ড গড়ছে৷ কবে মিলবে করোনার ভ্যাকসিন৷ সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সকলের মনে৷ এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার সংসদে দাঁড়িয়ে আশার বাণী শোনালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন৷ জানালেন নতুন বছরের শুরুতেই দেশে করোনা ভ্যাকসিন চলে আসবে বলে তিনি আশাবাদী৷ প্রধানমন্ত্রী নিজে দেশের কোভিড পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন বলেও জানান তিনি৷
আরও পড়ুন- প্যান্ডেল খোলা থাকলে সংক্রমণ চলে যাবে? মুখ্যমন্ত্রীকে ‘চিকিৎসক’ পরামর্শ সুভাষ সরকারের
এদিন রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ভারতও ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ অত্যন্ত সন্তর্পণে করোনা পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হচ্ছে৷’’ হর্ষবর্ধন আরও বলেন,‘‘ প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে বিষয়টির উপর নজর রাখছে বিশেষজ্ঞ দল৷ উন্নত পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের৷ আমরা আশা রাখি, নতুন বছরের শুরুতেই আমাদের হাতে ভ্যাকসিন চলে আসবে৷’’ ভারতে প্রথম করোনা আক্রান্তের খোঁজ মেলার আগেই এই বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার৷ প্রধানমমন্ত্রীর সঙ্গে প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা একইভাবে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি৷
হর্ষবর্ধন এদিন সংসদে আরও বলেন, ভারতে করোনায় মৃত্যুর হার ইউরোপের অনেক দেশের তুলনায় অনেকটাই কম। তাঁর দাবি, বর্তমানে দেশে করোনায় মৃত্যুর হার মাত্র ১.৬৪ শতাংশ। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে মৃত্যুর হার আরও অনেকটাই কমবে বলেও আশাবাদী তিনি। দেশে ব্যাপকভাবে কনট্রাক্ট ট্রেসিং চলছে৷
আরও পড়ুন- মোদীর জন্মদিনে ‘জাতীয় বেরোজগার দিবস’ পালন! বেকারত্বের প্রতিবাদ যুবাদের
এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘ভারতে তৈরি করোনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে৷ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ভ্যাকসিনগুলির অধ্যায়ন করছে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি৷ আমার বিশ্বাস, নতুন বছরেই এই ভ্যাকসিনগুলি প্রয়োগ করা যাবে৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেই এই বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে৷’’ তিনি আরও জানান, শুরুতে আমাদের দেশে মাত্র একটি টেস্টিং ল্যাব ছিল৷ এখন ১৭০০টি ল্যাব আছে৷ ১১০টি সংস্থা পিপিই কিট তৈরি করছে৷ ভেন্টিলেটর উৎপাদন করছে ২৫টি সংস্থা৷