নয়াদিল্লি: পুজোয় খোলা প্যান্ডেল থাকলে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা কম হবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে তীব্র কটাক্ষ করলেন বিজেপি সাংসদ ডক্টর সুভাষ সরকার। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহপ্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রীকে মানসিক রোগের চিকিৎসক দেখানোর কথাও বললেন ডক্টর সরকার।
রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ক্রমেই বাড়ছে। আক্রান্তের সংখ্যা দুই লক্ষ ছাড়িয়েছে। বাড়ছে মৃত্যু। প্রতিদিন আক্রান্তের গড় হিসেবও উদ্বেগজনক। ডক্টর সুভাষ সরকারের দাবি রাজ্যে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য রাজ্য সরকারই। করোনা হাসপাতালগুলিকে আলাদা করে সেখানে রোগীদের চিকিৎসা করার ভাবনাতেই গলদ রয়েছে বলে দাবি সুভাষবাবুর।
এছাড়াও সরকারী ব্যবস্থা নিয়েও এদিন তিনি তীব্র কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তিনি বলেন বিজ্ঞানসম্মত ভাবনা ও ব্যবস্থার অভাব রয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবায়। এছাড়াও তাঁর অভিযোগ রাজ্যের বিভিন্ন দফতরের মধ্যে কোনও সমন্বয় নেই। তার ফল ভোগ করছেন রাজ্যের মানুষ বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিজেপির এই সাংসদ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৭০ তম জন্মদিন উপলক্ষে সেবা সপ্তাহ পালনের ডাক দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাডা। বৃহস্পতিবার সেই কর্মসূচিতে যোগ দেন বিজেপি নেতা তথা সাংসদ ডাক্তার সুভাষ সরকার। এদিন নয়াদিল্লির করোল বাগ এলাকায় দরিদ্র মানুষের মধ্যে ফল বিতরণ করেন সাংসদ। তিনি বলেন মানুষ যাতে এই অসময়ে একটু ভালো থাকে সেজন্যই চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা।
করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই ফল বিতরণ অনুষ্ঠান হয়। তবে মুখে স্বাস্থ্যবিধির কথা বলা হলেও ছবিই বলে দিল কতটা তা মানা হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে লাইনে দাঁড়ানোর কথা বলা হলেও ফল নিতে আসা মানুষ একে অন্যে গা ঘেঁসে দাঁড়িয়ে থাকে। এমনকি ফল বিতরণের সময় ন্যুনতম দূরত্ববিধি মানা হয়নি বলেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে। শুধুমাত্র স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কারই যে করোনা বিধি মানার জন্য যথেষ্ট নয় তা জানলেও তা মানেননি উদ্যোক্তা থেকে এলাকার মানুষ। ফলে কর্মসূচি ভালো হলেও, উদ্যোগ শুভ হলেও তা যে কতটা কার্যকরী তা প্রশ্ন তুললেন সাধারণ মানুষ।