নয়াদিল্লি: মুখে মাস্ক। ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকেই আমাদের সকলের নিত্যসঙ্গী হয়ে গিয়েছে। বাড়িতে থাকলে ভাল, বাইরে বেরলেই মাস্ক মাস্ট! দেখতে দেখতে আমাদের অভ্যাস হয়ে গিয়েছে মাস্কে। কিন্তু তাও এই অভ্যাস আমরা সকলেই ত্যাগ করতে চাই। প্রায় দেড় বছর পার হয়ে গিয়েছে, টিকাও চলে এসেছে করোনার, কিন্তু তাও মাস্ক ছাড়া যাচ্ছে না। আদতে আর কত দিন পরতে হবে মাস্ক? আদৌ কি কখনও ছাড়া সম্ভব হবে? কবে মুক্তি মিলবে এই মাস্ক থেকে? এই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুন- কবে ভ্যাকসিন পাবে শিশু-কিশোররা? স্পষ্ট করে দিল কেন্দ্র
নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সদস্য ডঃ ভি কে পল জানাচ্ছেন, টিকাকরণ শুরু হলেও মাস্ক এখনই ছাড়া যাবে না। কমপক্ষে আরও বছর খানেক মাস্ক পরতেই হবে সকলকে। একই সঙ্গে মানতে হবে কোভিড নিয়ম বিধি। তিনি বলছেন, এখন তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা রয়েছে এবং শিশুদের ভ্যাকসিন বাজারে আসেনি। তাই সতর্কতা অবলম্বন করে চলতেই হবে সবাইকে। এর পাশাপাশি উৎসব মুরশুম নিয়েও তিনি সতর্ক করেন। বলেন, এই সময়টা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ এবং সচেতন না হলে বিপদ আরও বড় আকারে আসতে পারে। তাই অসচেতন হলে কোনও ভাবেই চলবে না। তাই এখনই মাস্ক ছাড়া ঘোরার প্রশ্ন আসছে না। সুতরাং তাঁর কথায় পরিষ্কার, আগামী বছরও মুখ থেকে মাস্ক খোলা যাচ্ছে না! মাস্ক বর্তমান, মাস্কই ভবিষ্যৎ।
আরও পড়ুন- ED-র তলবে দিল্লি যাচ্ছেন না মলয় ঘটক, বদলে দুটি প্রস্তাব রাখলেন আইনমন্ত্রী
উল্লেখ্য, দেশে টিকাকরণের হার বেড়েছে এবং আপাতত মোট টিকা প্রাপ্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭৫ কোটি। মোট সংখ্যা ৭৫ কোটি ২২ লক্ষ ৩৮ হাজার ৩২৪ জন। অন্যদিকে, যে ছ’টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ইতিমধ্যেই ১০০ শতাংশ মানুষ একটি ডোজ ভ্যাকসিন পেয়েছে সেগুলি হল, সিকিম, গোয়া, হিমাচলপ্রদেশ, দাদরা নগর হাভেলি, দমন ও দিউ এবং লাক্ষাদ্বীপ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড আক্রান্ত হয়েছে ২৫ হাজার ৪০৪ জন। একদিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৩৯ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার কবল থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩৭ হাজার ১২৭ জন। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে দেশে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ লক্ষ ৬২ হাজার ২০৭ জন।