মুম্বই: কোনও মামলার তদন্ত করতে হলে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের অনুমতি নিতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-কে৷ বৃহস্পতিবার একটি ঐতিহাসিক রায়ে এ কথা জানায় সুপ্রিম কোর্ট৷ শীর্ষ আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানালেন মহারাষ্ট্রের মৎস্য ও বস্ত্রমন্ত্রী আসলাম শেখ৷ তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রে বিজেপি জমানায় পানের দোকানে পরিণত হয়েছে সিবিআই৷’’
আরও পড়ুন- আর সামাজিক দূরত্ব নয়, বলা হবে শারীরিক দূরত্ব, শান্তনুর আবেদনে সম্মতি কেন্দ্রের
এদিন আসলাম শেখ বলেন, ‘‘বিজেপি’র আমলে পান পাতার দোকান হয়ে গিয়েছে সিবিআই৷ তারা যেখানে কোনও রাজ্যে পৌঁছে ইচ্ছে মতো গ্রেফতার করছে৷ বিশেষ করে অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে চলছে এই ধারা৷ মুখ্যমন্ত্রী এবং অন্যান্য মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হচ্ছে৷ তাঁদের হেনস্থা করা হচ্ছে৷ সিবিআই তদন্তের এক্তিয়ার নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছে, আমরা তাকে স্বাগত জানাচ্ছি৷’’ সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখও৷ তিনি টুইট করে বলেন, কোনও রাজ্য চাইলে নির্দিষ্ট মামলার ক্ষেত্রে সিবিআই তদন্ত বাতিল করতে পারে৷ রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য অনেক সময়েই এই তদন্তকারী সংস্থার অপব্যবহার করা হয়ে থাকে৷ বিশেষত অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীদের হেনস্থা করা হচ্ছে৷
আরও পড়ুন- আর লুকানো যাবে না উপার্জন, RTI করে স্বামীর আয় জানতে পারবেন স্ত্রী
প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার এক রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, থেকে সিবিআই তদন্তের জন্য রাজ্যের সম্মতি আবশ্যক৷ রাজ্য সরকারের সম্মতি ছাড়া কেন্দ্র সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিতে পারে না৷ উত্তরপ্রদেশে সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে একটি দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় এই রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট৷ এদিন রায় ঘোষণার সময় দিল্লি স্পেশাল পুলিশ এস্ট্যাবলিশমেন্ট অ্যাক্ট-এর কথা উল্লেখ করেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এএম খানউইলকর এবং বিচারপতি বিআর গভাই৷ এই আইনেই সিবিআই-কে নিয়ন্ত্রণ করা হয়৷ দেশের আটটি রাজ্য ইতিমধ্যেই সিবিআই এর উপর থেকে সাধারণ সম্মতি প্রত্যাহার করে নিয়েছে৷ তদন্ত করতে গেলে এবার থেকে এই আট রাজ্যের সম্মতির প্রয়োজন হবে৷ এই আট রাজ্য হল পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, ছত্তীশগড়, রাজস্থান, কেরল, মহারাষ্ট্র, মিজোরাম এবং পঞ্জাব৷