মুম্বই: সম্প্রতি ছয়জন জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে যারা ভারতের বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসবাদী হামলার ছক করেছিল। পাকিস্তানের মদত পুষ্ট ওই জঙ্গিদের আরো এক সঙ্গীকে এবার গ্রেফতার করা হল। তাকে গ্রেফতার করেছে মুম্বাই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ এবং মহারাষ্ট্র জঙ্গি দমন শাখা। মুম্বইয়ের যোগেশ্বরী এলাকা থেকে জাকির নামে ওই জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় দেড় কেজি আরডিএক্স।
আরও পড়ুন- দুয়ারে রেশন: সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্চ করে প্রধান বিচারপতির এজলাসে ডিলাররা
পুলিশ সূত্রে খবর, যে জঙ্গি ধরা পড়েছে তাকেই বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য অস্ত্র এবং বিস্ফোরক আনতে বলা হয়েছিল। তবে ধরা পড়ার পর পুলিশি জেরায় সে স্লিপার সেলের বেশ কয়েকজন সদস্যের নাম জানিয়েছে বলে খবর। সে এও জানিয়েছে, কেবল মুম্বই, দিল্লি নয়, দেশের সমস্ত মেট্রো শহরেই হামলার ছক ছিল তাদের। অতএব বিরাট আতঙ্কের ব্যাপার ছিল দেশবাসীর জন্য। আগেই তাঁরা জানতে পেরেছিল যে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে ভারতে অর্থনৈতিক সন্ত্রাসের ছক করেছিল এই জঙ্গিরা। আর এই হামলার নেপথ্যে ছিল পাকিস্তান এবং আইএসআই। তাই আরও এক জঙ্গিকে গ্রেফতার করা মানে তাদের পরিকল্পনা পুরোটাই ভেস্তে দেওয়া। গ্রেফতার হওয়া জঙ্গিদের জেরা করে এর আগে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছিল যে, ২৬/১১ মুম্বই হামলার ধাঁচে নাশকতার ছক করেছিল তারা। দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি নষ্ট করে দেওয়ার জন্য মাল বোঝাই ট্রেন, কারখানা এবং একাধিক গুদামঘরকে নিশানা করেছিল তারা। মূলত করোনাভাইরাস পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে ভারতের অর্থনৈতিক ভিত্তি একেবারে নষ্ট করে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের।
আরও পড়ুন- নারীঘটিত অপরাধে ‘নিরাপদতম’ কলকাতা, তথ্য দিল কেন্দ্র
আরো জানা গিয়েছে, জঙ্গিদের পুরোপুরি মগজ ধোলাই করতে গোধরা কাণ্ডের ভিডিও দেখানো হয়েছিল। পরবর্তী ক্ষেত্রে তাদের রেললাইনে বিস্ফোরণের প্রশিক্ষণ এবং আত্মঘাতী হামলার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের ভাই দানিশ ইব্রাহিমের সঙ্গে যোগ ছিল এই জঙ্গিদের৷ তাদের টাকায় নাশকতার ছক কষা হচ্ছিল৷ ধৃত জঙ্গিদের মধ্যে পাকিস্তানে নাশকতার প্রশিক্ষণ নিয়েছিল দুই জঙ্গি৷ প্রশিক্ষণ দিয়েছিল পাক লেফটেন্যান্ট৷ ১৪-১৫ জন বাংলাভাষী একইভাবে প্রশিক্ষণ নিয়েছে বলেও দাবি দিল্লি পুলিশের৷ যে কজন বাংলাভাষী এদের সঙ্গে ছিল তারা বাংলাদেশের বা পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।