ভারতে একদিনে মৃত্যু ৫০-এর ওপর! বুস্টার নিয়েও কোভিড গেটসের

ভারতে একদিনে মৃত্যু ৫০-এর ওপর! বুস্টার নিয়েও কোভিড গেটসের

নয়াদিল্লি: দেশের কোভিড গ্রাফে আজ চিন্তা বহাল থাকল দেশবাসীর। কারণ আজ ভারতে দৈনিক সংক্রমণ তুলনায় কমলেও দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাতেও বৃদ্ধি পেয়েছে তাই আশঙ্কা বাড়ছে। যদিও করোনার চতুর্থ ঢেউ নিয়ে এখনও আশার বাণী শোনাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। আইসিএমআর বলছে, এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি তাতে কোভিড চতুর্থ ঢেউ আসার সম্ভাবনা নেই। তবে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে এবং অন্তত কোভিড বিধি মানতে হবে।

আরও পড়ুন- ঘোষণাই সার, ট্রেনে বেডরোল কোথায়? বিশেষ নিয়ম ভারতীয় রেলে

কেন্দ্রীয় তথ্য বলছে, আজ দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৮৯৭ জন। এর মধ্যে শুধু দিল্লিতেই আক্রান্ত ১ হাজার ১১৮ জন। এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ৫৪ জনের। আবার একদিনে সুস্থ হয়েছে ২ হাজার ৯৮৬ জন। মোট সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ৪ কোটি ২৫ লক্ষ ৬৬ হাজার ৯৩৫। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২০ হাজারের নীচে নেমেছে। আজ তা আপাতত দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৪৯৪। এদিকে মোট মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ২৪ হাজার ১৫৭ জনের। আপাতত সুস্থতার হার ৯৮.৭৪ শতাংশ। টিকাকরণও চলছে দাপটের সঙ্গে। এতদিনে মোট টিকা দেওয়া হয়েছে ১৯০ কোটি ৬৭ লক্ষ ৫০ হাজার ৬৩১ ডোজ। গতকাল ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে ১৪ লক্ষ ৮৩ হাজার ৮৭৮ ডোজ।

এদিকে জানা গিয়েছে, বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি বিল গেটস করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর শরীরে হালকা উপসর্গ রয়েছে। আপাতত আইসোলেশনে রয়েছেন তিনি। যদিও তিনি বুস্টার ডোজ নিয়েছিলেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনেক আগে থেকেই নতুন কোভিড ঢেউ নিয়ে সতর্ক করে আসছে। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। তাই সকলকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে নির্দিষ্টভাবে কোভিড বিধি মেনে চলতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 5 =

কিঞ্চিৎ স্বস্তি দেশের কোভিড পরিসংখ্যানে, তবে বাড়ল অ্যাকটিভ কেস

কিঞ্চিৎ স্বস্তি দেশের কোভিড পরিসংখ্যানে, তবে বাড়ল অ্যাকটিভ কেস

নয়াদিল্লি: বিগত কয়েক দিন যাবত স্বস্তি বজায় থাকলেও আবার দেশের কোভিড গ্রাফ নিয়ে বিরাট চিন্তা বাড়ছে। দৈনিক সংক্রমণ দিল্লিতে যে হারে বাড়ছে তাতে উদ্বেগ হওয়াই স্বাভাবিক। একাধিক রাজ্যের পরিসংখ্যানে বদল হলেও সবথেকে বেশি চিন্তা হচ্ছে রাজধানীকে নিয়ে। তবে শুধু দিল্লি নয়, নতুন করে ফের চিন্তা বাড়ছে মহারাষ্ট্র নিয়েও। কারণ সেখানে করোনা গ্রাফ শেষ কয়েক দিন থেকে ঊর্ধ্বমুখী। মাঝে অনেক রাজ্যে কোভিড বিধি শিথিল করে দিয়েছিল। কিন্তু এখন আবার নতুন করে নিয়ম লাগু করা হচ্ছে। মাস্কও বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। যদিও আজকের তথ্য কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে।

আরও পড়ুন- ভিনগ্রহের বাসিন্দাদের সাংকেতিক আমন্ত্রণ নাসার, আতঙ্কে বিজ্ঞানীদের একাংশ

কেন্দ্রীয় তথ্য বলছে, আজ দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৫৬৮ জন। এর মধ্যে শুধু দিল্লিতেই আক্রান্ত এক হাজারের বেশি। এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। আবার একদিনে সুস্থ হয়েছে ২ হাজার ৯১১ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৫ লক্ষ ৪১ হাজার ৮৮৭ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১৯ হাজার ১৩৭। এদিকে মোট মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ২৩ হাজার ৮৮৯ জনের। আপাতত দেশের সুস্থতার হার ৯৮.৭৪ শতাংশ। টিকাকরণও চলছে দাপটের সঙ্গে। এতদিনে মোট টিকা দেওয়া হয়েছে ১৮৯ কোটি ৪১ লক্ষের বেশি ডোজ। ভারতের করোনা কালে প্রথম থেকে সংক্রমণের শীর্ষে ছিল মহারাষ্ট্র। এখন তার জায়গা নিয়েছে রাজধানী দিল্লি। করোনার চতুর্থ ঢেউ নিয়ে উদ্বেগ ব্যাপক হারে বাড়ছে। যদিও সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে আইসিএমআর।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, দেশের এই সামগ্রিক পরিসংখ্যান নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই। চতুর্থ ঢেউ নিয়ে যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে তা আপাতত অযৌক্তিক। অন্যদিকে আবার সম্প্রতি ‘নেচার’ জার্নালে এক গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হচ্ছে, শুধুমাত্রা মানুষের শরীরে নয়, অন্যান্য অনেক প্রাণীর শরীরেও সংক্রামক ব্যাধি হানা দেবে এবং তার সবথেকে বড় কারণ হল জলবায়ুর পরিবর্তন। যত দিন এগোবে, তত গরম বাড়বে এবং এই গরম বাড়ার ফলেই বিভিন্ন সংক্রামক রোগ হানা দিতে শুরু করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eight − 3 =