কলকাতা: করোনা সংক্রমণের জেরে দূরপাল্লার ট্রেনগুলোতে বন্ধ ছিল বেডরোল (কম্বল, চাদর, বালিশ) দেওয়া। কিন্তু বর্তমানে করোনা সংক্রমণ আগের থেকে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। নতুন করে নির্দেশিকা জারি করার একমাস অতিক্রম করার পরেও সব কটি দূরপাল্লার এক্সপ্রেস ট্রেনে এখনও বিনামূল্যে নিয়মিত বেডরোল দিতে হিমশিম খাচ্ছে রেলমন্ত্রক। যার জেরে যাত্রীরা প্রায়শই কর্বত্যরত রেলকর্মীদের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ছেন। অন্যদিকে, ভারতীয় রেল যাত্রীদের জন্য দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট কাটার ক্ষেত্রে বিশেষ নিয়ম এনেছে। এই নিয়মের জেরে প্ল্যাটফর্ম টিকিটেও দূরপাল্লার ট্রেনে যাত্রা করা সম্ভব বলে জানা গিয়েছে।
সরকারি তথ্য অনুসারে, মাত্র ৩০ শতাংশ দূর পাল্লার ট্রেনে নিয়মিত বেডরোল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। রেল আধিকারিকরা জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণের জেরে দূর পাল্লার ট্রেনে এসি কামরায় দীর্ঘদিন বেডরোল দেওয়া বন্ধ ছিল। কিন্তু বর্তমানে করোনা সংক্রমণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে আবার দূরপাল্লার এসি কামরায় বেডরোল দেওয়ার নির্দেশিকা জারি হয়েছে। সেই অনুযায়ী বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার ট্রেনে বেডরোল দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আগের মতো স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে আসতে সময় লাগবে।
১০ মার্চ রেল মন্ত্রকের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। সেখানেই জানানো হয়, আগের মতো দূরপাল্লার এসি কামরায় বিনামূল্যে বেডরোল দেওয়া হবে। নির্দেশিকা জারির একমাস পরেও তা স্বাভাবিক হয়নি। যার জেরে যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। এই প্রসঙ্গে রেল আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বর্তমানে ৬০০টির বেশি দূরপাল্লার ট্রেনের এসি কামরায় বেডরোল দেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে, রেল মন্ত্রকের তরফে নয়া নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, কনফার্ম টিকিট না থাকলেও প্ল্যাটফর্ম টিকিটে দূরপাল্লার ট্রেনে যাত্রা করা যাবে। তবে প্ল্যাটফর্ম টিকিট নিয়ে টিটিই বা টিকিট পরীক্ষকের সঙ্গে দেখা করতে হবে। টিটিই যাত্রীর গন্তব্যস্থলের টিকিট করে দেবেন। তবে অনেক ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠেছে, আসন ফাঁকা থাকলেও টিটিই তা অন্য যাত্রীদের দিতে অস্বীকার করেন। তবে এক্ষেত্রে ফাঁকা আসন দিতে অস্বীকার করলেও টিকিট পরীক্ষক যাত্রীদের ট্রেন যাত্রা থেকে আটকাতে পারবে না। যদি কনফার্ম টিকিট না থাকে, তবে মোট টিকিটের দামের সঙ্গে ২৫০ টাকা জরিমানা হিসেবে দিতে হবে।