কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে চাকরি প্রার্থীদের বিক্ষোভে ফের উত্তপ্ত রাজপথ৷ এবার একেবারে খোদ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে বিক্ষোভে সামিল হল এসএসসি চাকরি প্রার্থীরা৷ বিক্ষোভ শুরু হতেই আধ ঘণ্টার মধ্যে সেখান থেকে তাঁদের উঠে যাওয়ার নির্দেশ দেয় পুলিশ৷ কিন্তু নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকেন চাকরি প্রার্থীরা৷ এমনকী রাস্তার মধ্যে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা৷ তাঁদের হাতে দেখা যায় প্ল্যাকার্ড৷ সমান তালে চলে স্লোগান৷ কিন্তু গায়ের জোড়ে বিক্ষোভকারীদের হঠাল পুলিশ৷
আরও পড়ুন- মইদুল মৃত্যু: SIT-এর কাছে রিপোর্ট তলব প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের
এদিন শিক্ষামন্ত্রীর ‘চেতনা জাগ্রত’ করতে শাঁখ ও কাসর-ঘণ্টা বাজিয়ে আন্দোলন করেন এসএসসি চাকরি প্রার্থীরা৷ পুলিশি হুমকি উপেক্ষা করেই চলে তাঁদের আন্দোলন৷ তাঁদের বক্তব্য, শিক্ষমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা না করে তাঁরা ফিরবেন না৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়৷ আনা হয় সিভিক পুলিশ৷ আন্দোলনকারীদের সামনে নির্দিষ্ট সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়৷ ফলে সময়সীমার বাইরে গেলে আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের হঠাতে বল প্রয়োগ করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল৷ উপস্থিত ছিল প্রিজন ভ্যান৷ সেই মতোই নির্দিষ্ট সময় পেরতেই আন্দোলনকারীদের টেনে হিঁচ়ড়ে তোলা হয় প্রিজন ভ্যানে৷ পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয় এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের৷ পরে তাঁদের নেতাজি নগর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়৷
আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল, নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সমস্ত ওয়েটিং প্রার্থীদের অবিলম্বে চাকরি দিতে হবে৷ আজকেই কাউন্সেলিংয়ের নোটিশ দিয়ে অবিলম্বে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে৷ আন্দোলনরত এক চাকরি প্রার্থী জানান, ‘‘আমাদের প্রতিনিধিরা ইতিমধ্যেই সন্ট্রাল পার্কের সামনে অনশন করছে৷ আমরা এখানে বিক্ষোভ দেখাচ্ছি৷ মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির অল ওয়েটিং প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হবে৷ কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি পালন করা হয়নি৷ আমাদের সঙ্গে বঞ্চনা করা হয়েছে৷’’
আরও পড়ুন- পোস্টারে অশালীন হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট, বিতর্কে সাংসদ জগন্নাথ সরকার
দীর্ঘদিন ধরেই চাকরির দাবিতে এসএসসি চাকরি প্রার্থীরা আন্দোলন চলাচ্ছে৷ দফতরে দফতরে ঘুরেও কোনও সুরাহা মেলেনি৷ দু’বছর আগে মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং প্রেস ক্লাবের সামনে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির মেধাতালিকাভুক্ত ওয়েটিং প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, মেধাতালিকার কোনও প্রার্থীকে বঞ্চিত করা হবে না৷ কিন্তু দু’বছর কেটে গেলেও সেই প্রতিশ্রুতি পালন করা হয়নি৷