কলকাতা: গত ১১ ফেব্রুয়ারি বামেদের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই-এর নবান্ন অভিযানে পুলিশের লাঠিচার্জে মৃত্যু হয় মইদুল ইসলাম মিদ্যার। পুলিশের অতি সক্রিয়তা নিয়ে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে SIT-এর কাছে রিপোর্ট চাইলো হাইকোর্ট। আগামী ১২ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানি। মইদুল মিদ্দার মৃত্যুর ঘটনা খতিয়ে দেখতে সাত সদস্যের সিট গঠন করা হয়েছিল।
নবান্ন অভিযান নিয়ে এসে ডিওয়াইএফআই কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেস সরকার এবং রাজ্য পুলিশকে আক্রমণ করেছে সিপিএম এবং বিরোধীরা। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মৃত কর্মীর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন এবং ঘোষণা করেছিলেন পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়া হবে। সেই প্রেক্ষিতে আশ্বাস মত চাকরি পেয়েছেন মৃত মইদুল ইসলামের স্ত্রী। ইতিমধ্যেই পরিবারের এক সদস্যের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রসঙ্গত, নবান্নে সাংবাদিকদের চকে কার্যত মেজাজ হারিয়ে ডিওয়াইএফআই কর্মীর মৃত্যু প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘আমি কোনও মৃত্যুকে সমর্থন করিনা৷ এটা দুঃখজনক৷ সুজন চক্রবর্তীকে বলেছি, যে কারণেই মৃত্যু হয়ে থাক না কেন তাঁর পরিবার যদি চায় তাহলে কোনও একজন সদস্যকে চাকরি দেওয়া হবে৷ এছাড়াও তাঁদের আর্থিক ভাবে সাহায্য করার জন্যও আমরা তৈরি আছি৷’’
তবে চাকরি দেওয়া প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেছিলেন, “বাংলার কোনো মা বোন যদি ধর্ষিতা হয়, তাঁকে চাকরি দেন মুখ্যমন্ত্রী। আর্থিক সাহায্যের প্রলোভন দেখিয়ে আসলে অভিযুক্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করেন। পুলিশের লাঠির আঘাতে মৃত গরীব মানুষের পরিবারকেও চাকরির প্রলোভন দেখাচ্ছেন তিনি।” কংগ্রেস নেতার পাশাপাশি এ ব্যাপারে মুখ খুলতে শোনা গেছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকেও। তরুণ বাম কর্মীর মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছেন মুখ্যমন্ত্রী, এদিন এমনটাই দাবি করেছেন গেরুয়া নেতা। তিনি বলেন, “আন্দোলন করানো হচ্ছে, চাকরি দেওয়াও হচ্ছে।এভাবে লাভ তোলা হচ্ছে। এর পিছনে একটা সূক্ষ্ম রাজনীতি আছে।”