নদিয়া: ফের বিতর্কে বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার৷ প্রকাশ্যে উঠে এল তাঁর অশালীন হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ৷ সেই কথোপকথনের পোস্টারে ছয়লাপ গোটা জেলা৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের তোলপাড় নদীয়া৷
রাণাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের ছবি ও নাম দিয়ে অসংখ্য পোস্টার পড়েছে নদীয়ার অলিগলিতে৷ যেখানে তাঁকে কটাক্ষ করে ‘চরিত্রবান’ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে৷ ওই পোস্টারে রয়েছে এক মহিলার সঙ্গে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপে আপত্তিজনক মন্তব্যের স্ক্রিনশট৷ এই পোস্টার লাগানোর পিছনে কে বা কারা রয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি৷ তবে এই ঘটনার পিছনে তৃণমূলের ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের৷ তাঁদের অভিযোগ, মিথ্যে কথা রটিয়ে বিজেপি’র ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে৷ যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে ঘাসফুল শিবির৷ উল্টে আঙুল তুলেছে বিজেপি’র দিকেই৷ রানাঘাটের ১ নং ব্লকের তৃণমূল সভাপতি তাপস ঘোষ বলেন, এটা বিজেপি’র গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জের৷ গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে এই কাজ করেছে তাদেরই দলের লোক৷
এ প্রসঙ্গে জগন্নাথ সরকারের মন্তব্য, ‘‘এখন কম্পিউটারে মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে কারও সঙ্গে চ্যাটিং করা যায়৷ এটা কোনও বিষয়ই নয়৷ রাজনৈতিক লড়াইয়ে যখন সামনাসামনি কেউ এঁটে উঠতে পারে না, তখনই মিথ্যের আশ্রয় নেওয়া হয়৷ জনপ্রিয়তা হ্রাস করার চেষ্টা করা হচ্ছে৷ আমি ৩২ বছর একটি কো-এড স্কুলে শিক্ষকতা করেছি৷ খেলার টিচার হিসাবে বহু জায়গায় দল নিয়ে গিয়েছি৷ কিন্তু কারও ক্ষমতা হয়নি আমার চরিত্র নিয়ে কথা বলার৷ রাজনীতিতে যারা কাপুরুষ, ভীরু, সামনাসামনি লড়াই করতে পারে না তারাই এই কুৎসা রটাচ্ছে৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আসন্ন বিধানসভা ভোটে তারা ব্যক্তি জগন্নাথকে খুবই ভয় পাচ্ছে৷ সে কারণেই আমার জনপ্রিয়তা হ্রাস করার চেষ্টা করা হচ্ছে৷ দলের বদনাম করার অপচেষ্টা চলছে৷’’
প্রসঙ্গত, একজন মহিলার সঙ্গে জগন্নাথ সরকারের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিন শট দিয়ে পোস্টার লাগানো হয়৷ সেখানে আরও লেখা হয়েছে, খুব শীঘ্রই জগন্নাথ সরকার ও তাঁর বন্ধুদের মেগা ওয়েব সিরিজের দ্বিতীয় পর্ব আসছে৷ উল্লেখ্য বিষয় হল, ওই পোস্টারে এক মহিলার ছবিও রয়েছে৷ এর আগেও ওই মহিলার সঙ্গে জগন্নাথ সরকারের চ্যাট সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল৷ সেই সময় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয় রাজনৈতিক মহল৷ কয়েক দিন আগে নদীয়ার হাবিবপুরে ছাতিমতলা মাঠের জনসভা থেকেও নাম না করে জগন্নাথ সরকারকে কটাক্ষ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও৷