চার সপ্তাহের মধ্য দিতেই হবে NOC, শিক্ষক বদলি নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ রায় হাইকোর্টের

চার সপ্তাহের মধ্য দিতেই হবে NOC, শিক্ষক বদলি নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ রায় হাইকোর্টের

কলকাতা: স্কুল বদলি নিয়ে কড়া নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট৷ ৪ সপ্তাহের মধ্যে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (NOC) দিয়ে ছাড়তে হবে বদলি প্রার্থী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের৷ তাৎপর্যপূর্ণ রায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের৷ আদালতের এই রায়  নিঃসন্দেহে শিক্ষকদের বদলির ক্ষেত্রে বেনজির৷ 

আরও পড়ুন- ‘যাঁরা বিষ খেয়েছেন, তাঁরা বিজেপির ক্যাডার’, বিস্ফোরক মন্তব্য ব্রাত্যের

বদলি নিয়ে যে মামলার পাহাড় জমা হয়েছে, তাতে বিরক্ত বিচারপতি৷ তার প্রেক্ষিতে রাজ্যের শিক্ষক বদলির বিষয়ে নিশ্চিত ভাবে বড় নির্দেশ হাইকোর্টের৷ চাকরি নিয়মে যে কোনও স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলির সুযোগ রয়েছে৷ তবে জেনারেল ও মিউচুয়ার বদলির ক্ষেত্রে স্কুল থেকে NOC নিতে হয়৷ কিন্তু  NOC আবেদন করার পরেও বছরের পর বছর তা ফেলে রাখে স্কুল কর্তৃপক্ষ৷ বদলি নিয়ে চলে টালবাহানা৷ এমনই একটি ঘটনা ঘটে রানিগঞ্জের গান্ধী মেমোরিয়াল গার্লস স্কুলের শিক্ষিকা অপর্ণা মুন্সির ক্ষেত্রে৷

২০১৯ সালে বদলির জন্য  NOC চেয়ে আবেদন করেছিলেন বাংলা বিভাগের শিক্ষিকা অপর্ণা৷ হগলির ভদ্রেশ্বরের একটি স্কুলে বদলি চেয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু NOC না মেলায় মামলা গড়ায় হাইকোর্টে৷ কিন্তু ২ বছর পরেও সেই সমস্যা মেটেনি৷ কলকাতা হাইকোর্ট তাঁকে বদলির নির্দেশ দিলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ পাল্টা মামলা করে৷ এই মামলায় উল্লেখযোগ্য রায় দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ তিনি জানান, ৪ সপ্তাহের মধ্যে NOC দিয়ে বদলির নিষ্পত্তি করতে হবে৷ পাশাপাশি শিক্ষিকা অপর্ণা মুন্সিকে ২০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে৷  

আরও পড়ুন- সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর, মহার্ঘ ভাতার পর এবার বাড়ছে বেতন

এছাড়াও কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্টার জেনারেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই নির্দেশ যেন প্রতিটি স্কুলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়৷ যাতে বদলির ক্ষেত্রে NOC নিয়ে কোনও টালবাহানা না হয়৷ একইসঙ্গে শিক্ষা দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রাটারির কাছেও এই নির্দেশ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে৷ 

এই বিষয়ে আইনজীবী উজ্জ্বল রায় বলেন, মিউচুয়াল বা জেনারেল ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে শিক্ষকরা যদি নো অবজেকশন চান, এবং তাতে অনুমতি দেওয়া যদি  বেআইনি না হয়, তাহলে ৪ সপ্তাহের মধ্যে তাতে অনুমোদন দিতে বাধ্য থাকবে স্কুল৷    
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − four =