কত শতাংশ মৃত্যু রুখতে পারে টিকার একটি ডোজ? স্পষ্ট করল কেন্দ্র

কত শতাংশ মৃত্যু রুখতে পারে টিকার একটি ডোজ? স্পষ্ট করল কেন্দ্র

নয়াদিল্লি: করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে শুরু হয়েছে দেশজুড়ে টিকাকরণ কর্মসূচি। ইতিমধ্যে প্রায় ৭০ কোটি মানুষ ভ্যাকসিন পেয়েছেন। এখনো পর্যন্ত ভ্যাকসিন নিয়ে একাধিক গবেষণা প্রকাশ্যে এসেছে যেখানে কখনো কখনো ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা সম্পর্কে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, আবার কখনো ভ্যাকসিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার। তবে একটি মাত্র করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের ডোজ মৃত্যু রুখতে কতটা কার্যকরী সেই ব্যাপারে এবার স্পষ্ট করল কেন্দ্রীয় সরকার। 

আরও পড়ুন- নবনিযুক্ত ডিজিকে তলব করল হাইকোর্ট! এই মাসেই হাজিরার নির্দেশ

কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর মৃত্যু রুখতে টিকার একটি ডোজ ৯৬.৬ শতাংশ কার্যকরী। যারা দুটি ডোজ নিচ্ছেন তাদের জন্য সেই কার্যকারিতা হয়ে যাবে ৯৭.৫ শতাংশ। এপ্রিল মাস থেকে অগাস্ট মাস পর্যন্ত তথ্য পর্যালোচনা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার এবং তারপরেই এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি কেন্দ্র আরো জানিয়েছে, এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে অনেকেই মারা গিয়েছেন কিন্তু তাদের মধ্যে কেউ ভ্যাকসিন নেননি। অর্থাৎ করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন যে অত্যন্ত জরুরি তা আরো একবার বুঝিয়ে দিতে চাইল কেন্দ্রীয় সরকার। প্রথম থেকেই দাবি করা হচ্ছিল যে ভ্যাকসিন নিলে মৃত্যুর হার অনেক বেশি কমে যাবে। এখন আরো স্পষ্ট করে বলা হচ্ছে, ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নিলে মৃত্যুর সম্ভাবনা প্রায় থাকবে না। সম্প্রতি দেশের টিকাকরণে রেকর্ড করেছিল ভারত। সেই ইস্যুতে প্রশংসা করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর সঙ্গে যুক্ত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে ছিলেন। 

আরও পড়ুন- কয়লাকাণ্ডে এবার মন্ত্রী মলয় ঘটককে দিল্লিতে তলব ED-র

সম্প্রতি কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন সম্পর্কে জানা গিয়েছিল যে, ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের মধ্যে যে ৮৪ দিনের ব্যবধান রাখা হয়েছে তা সেরা কাজ দিচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে যে বৈজ্ঞানিক গবেষণার ভিত্তিতে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশ অনুযায়ী টিকাকরণ কর্মসূচি চলছে আর এই ভ্যাকসিনের মধ্যে যে অন্তর রাখা হয়েছে তা সবথেকে বেশি কার্যকরী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *