নয়াদিল্লি: সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া নির্মিত করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন কোভিশিল্ডের দুটি টিকার মধ্যে ব্যবধান নিয়ে প্রথম থেকেই প্রশ্ন চিহ্ন ছিল। প্রাথমিকভাবে যে ব্যবধান রাখা হয়েছিল তা পরে বাড়িয়ে দেওয়া হয়। নিন্দুকদের বক্তব্য ছিল যে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ভ্যাকসিনের যোগান কম থাকায় এই ব্যবধান বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও পরবর্তী ক্ষেত্রে দাবি করা হয় যে ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের মধ্যে এই ব্যবধান যথেষ্ট কার্যকরী। এবার কেন্দ্রের তরফের স্পষ্ট জানানো হল যে, কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের মধ্যে যে ৮৪ দিনের ব্যবধান রাখা হয়েছে তা সেরা কাজ দিচ্ছে।
আরও পড়ুন- নবনিযুক্ত ডিজিকে তলব করল হাইকোর্ট! এই মাসেই হাজিরার নির্দেশ
কেরল হাইকোর্টের কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এই ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের মধ্যে যে ৮৪ দিনের অন্তর রয়েছে তা সব থেকে ভালো কাজ দিচ্ছে। আসলে কেরলের একটি সংস্থা কিটেক্স গার্মেন্টস লিমিটেড ৮৪ দিন সম্পন্ন হওয়ার আগেই কর্মীদের ভ্যাকসিন দিতে চেয়েছিল। এই প্রেক্ষিতে তারা রাজ্য সরকারের কাছে অনুমতি চেয়েছিল। তার ভিত্তিতে যে মামলা তাতেই ভালো সিনেমা গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে যে বৈজ্ঞানিক গবেষণার ভিত্তিতে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশ অনুযায়ী টিকাকরণ কর্মসূচি চলছে আর এই ভ্যাকসিনের মধ্যে যে অন্তর রাখা হয়েছে তা সবথেকে বেশি কার্যকরী।
আরও পড়ুন- কয়লাকাণ্ডে এবার মন্ত্রী মলয় ঘটককে দিল্লিতে তলব ED-র
ভারতে টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর নির্দিষ্ট দিনের ব্যবধানে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার এই ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের মধ্যে ব্যবধান বাড়িয়ে দেয়। এখন এই ভ্যাকসিন ১২-১৬ সপ্তাহের ব্যবধানে দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, বিশেষজ্ঞ এবং বৈজ্ঞানিকদের পরামর্শ অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। যদিও বিজ্ঞানীদের একাংশ বলছে, কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের দুটি টিকার ব্যবধান বাড়ানোর সুপারিশের জন্য যে তথ্যের প্রয়োজন ছিল তা কমিটির হাতে ছিল না। কিন্তু ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং ব্যবধান বাড়ানো হয়েছে। তাদের বক্তব্য, দুটি টিকার মধ্যে ব্যবধান ৮-১২ সপ্তাহের থাকা উচিত বলে মনে করছিল বিজ্ঞানী মহল।