করোনার BF.7 উপজাতি নিয়ে বিরাট শঙ্কা, সর্দিজ্বরের সঙ্গে উপসর্গ মেলালে চলবে না

করোনার BF.7 উপজাতি নিয়ে বিরাট শঙ্কা, সর্দিজ্বরের সঙ্গে উপসর্গ মেলালে চলবে না

c2b21e2e7f8262af25cf5e7d63dadf67

কলকাতা: নতুন করে চোখ রাঙাতে শুরু করেছে করোনা ভাইরাস৷ এর আগে আল্ফা, বিটা, ডেল্টা থেকে ওমিক্রন, নানা প্রজাতি বারবার ঘুরে ফিরে এসেছে৷ এবার করোনার আরও এক রূপের সম্মুখীন গোটা দুনিয়া। এটির নাম ওমিক্রন বিএফ.৭। চিনে ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। ইতিমধ্যেই সেখানে দিনপ্রতি সাড়ে ৩ কোটি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে বলে খবর। মৃত্যুও বাড়ছে হু হু করে। কিন্তু করোনার এই উপরূপের উপসর্গগুলি ঠিক কী? কী ভাবে বুঝবেন যে আপনি এই প্রজাতিতে আক্রান্ত হয়েছেন?

আরও পড়ুন- কোভিডে আক্রান্ত ১০ কোটিরও বেশি, মৃত্যুও বিশ্বের মধ্যে সর্বাধিক এই দেশে

মূলত সর্দি-কাশি এবং জ্বরের সঙ্গে করোনার উপসর্গের মিল থাকলেও এক্ষেত্রে দুটি গুলিয়ে ফেললে চলবে না। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বিএফ.৭ উপরূপের কারণে শ্বাসনালির ওপরের অংশ আক্রান্ত হয়। এর ফলে বুকের ওপরের দিক এবং কণ্ঠনালিতে কফ জমে। যার কারণে গলা ব্যাথা, কাশি হয়। তবে সেই কাশি এবং গলা ব্যাথা সাধারণের থেকে কিছুটা বেশি প্রবল। অন্যদিকে এও জানা গিয়েছে, এই উপরূপে আক্রান্ত হলে পেটের সমস্যা যেমন পেট খারাপ, বমি, ডায়রিয়াও হতে পারে। তাই পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, এর মধ্যে যে কোনও উপসর্গ ধরা পড়লে সঙ্গে সঙ্গে যেন চিকিৎসকের কাছে যাওয়া হয়।

আরও একটি বিষয় চিন্তার, যা হল এই উপরূপের সংক্রমণ ক্ষমতা। বিএফ.৭ উপরূপ ততটাও মারণাত্মক না হলেও অতিরিক্ত সংক্রমণ ঘটিয়ে সার্বিকভাবে পরিস্থিতি আরও জটিল করে দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই ভাইরাসের প্রজনন ক্ষমতা ১০ থেকে ১৮.৬৷ অর্থাৎ কোনও ব্যক্তি ওমিক্রনের এই রূপে সংক্রমিত হলে, তাঁর থেকে ১০ থেকে ১৮.৬ জন সংক্রমিত হতে পারেন। তবে স্বস্তির বিষয়, এই উপরূপের সংক্রমণের ক্ষেত্রে সুস্থতার হার অনেক বেশি। চিন ছাড়াও ভারত, আমেরিকা, ব্রিটেন, বেলজিয়াম, জার্মানি, ফ্রান্স, ডেনমার্কেও ছড়িয়ে পড়েছে এই বিএফ.৭।  

আরও পড়ুন- ৩ মাসে সংক্রমিত হতে পারে ৬০%! ফের করোনা বিস্ফোরণের আশঙ্কা

আরও দাবি করা হয়েছে, ওমিক্রনের বাকি প্রজাতিগুলোর চেয়ে বিএফ.৭ ৪.৪ গুণ বেশি সংক্রামক। সবচেয়ে বেশি চিন্তার বিষয় হল, ওমিক্রনের এই উপপ্রজাতি বা সাব-ভ্যারিয়্যান্ট সহজে ভ্যাকসিন দিয়ে কাবু হবে না। মানুষের শরীরে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে বিএফ.৭৷ শরীরের শ্বেত রক্তকণিকার প্রতিরোধ শক্তিকেও ভেঙে দিতে পারবে অল্পদিনের মধ্যেই। ফলে শরীরে ভাইরাস প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হলেও সহজে নিকেশ করা যাবে না ওমিক্রনের এই প্রজাতিকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *