“নন্দীগ্রামে হারছেন, প্রাক্তন বিধায়কের প্যাড ছাপিয়ে রাখুন”! মমতাকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে চরম আত্মবিশ্বাসী শুভেন্দু অধিকারী

কলকাতা: প্রধানমন্ত্রীর ব্রিগেড সমাবেশ নিয়ে উন্মাদনা ছিল আগে থেকেই, তবে রবিবারের ব্রিগেডে সব আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে রইলেন বাংলা সিনেমা জগতের ‘মহাগুরু’ মিঠুন চক্রবর্তী। এদিন ধুতি পাঞ্জাবি পড়ে খাঁটি বাঙালিয়ানার ছোঁয়া নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তিনি। ভোটের আগে বিজেপির এই মেগা ব্রিগেড সমাবেশ থেকেই তৃণমূল সুপ্রিমোর উদ্দেশ্যে ফের একবার হুঁশিয়ারি দিলেন গেরুয়া নেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

আরও পড়ুন-  ‘ভাইপোর-পিসি হয়েই রয়ে গেলেন, আপনার স্কুটি নন্দীগ্রামে মুথ খুবড়ে পড়বে’ হুঙ্কার নমোর

এবারের ভোটের দীর্ঘদিন আগে থেকেই ‘হটস্পট’ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে গেছে নন্দীগ্রাম। বিপ্লবের এই মাটি থেকেই এবার ভোটে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে সেখান থেকেই বিজেপির হয়ে পাল্টা লড়াই করতে প্রস্তুত তাঁরই প্রাক্তন সেনাপতি শুভেন্দু অধিকারী। এই দুইয়ের মেগা দ্বৈরথে মাননীয়ার পরাজয় নিশ্চিত, এদিন ব্রিগেড সভা মঞ্চ থেকে এমনটাই দাবি করলেন নন্দীগ্রামের নেতা শুভেন্দু অধিকারী। ব্রিগেডে গেরুয়া নেতৃত্ব এবং উপস্থিত জনতার সামনে তাঁর হুঁশিয়ারি, “নন্দীগ্রামে মাননীয়াকে আমি হারাবোই।”

এখানেই শেষ নয়, রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী এদিন স্বামী বিবেকানন্দের উক্তির প্রসঙ্গ টেনে আরো বলেন, “আধুনিককালে যাঁদের আত্মবিশ্বাস নেই তাঁরাই নাস্তিক। আমার আত্মবিশ্বাস আছে।” ২০ বছর নন্দীগ্রামের মাটিতে কাজ করায় সেই মাটি হাতের তালুর মতোই চেনা, জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এবার নন্দীগ্রামে বহিরাগত তকমা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীকেই। ভূমিপুত্র হিসেবে তাঁর হুংকার, “আপনাকে হারতে হবে, প্রাক্তন বিধায়কের প্যাড  ছাপিয়ে রাখুন।”

আরও পড়ুন- চাই না কেউ চোট পাক, কিন্তু স্কুটি যদি নন্দীগ্রামে…! মমতাকে কটাক্ষ মোদীর

উল্লেখ্য, দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর গত ডিসেম্বরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তার পর থেকেই যথারীতি মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যের শাসকদলকে উদ্দেশ্য করে ক্রমাগত আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি। দলে যোগদানের মাত্র কিছুদিনের মধ্যেই বিজেপিতে তাঁর গুরুত্ব বেড়ে গেছে মাত্রাতিরিক্ত ভাবে। এদিন ব্রিগেড থেকে সেই সূত্রেই ফের আত্মবিশ্বাসী শুভেন্দু অধিকারী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *