চাই না কেউ চোট পাক, কিন্তু স্কুটি যদি নন্দীগ্রামে…! মমতাকে কটাক্ষ মোদীর

চাই না কেউ চোট পাক, কিন্তু স্কুটি যদি নন্দীগ্রামে…! মমতাকে কটাক্ষ মোদীর

কলকাতা: কিছুদিন আগে পেট্রোপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে ব্যাটারি চালিত স্কুটিতে নবান্নে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফিরহাদ হাকিম তাঁকে স্কুটি চালিয়ে নিয়ে গেলেও ফেরার সময় নিজেই স্কুটি চালিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তিনি যে স্কুটি একেবারেই চালাতে পারেন না তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল সেদিন, আশেপাশে অনেকে তাঁকে সাহায্য করছিল স্কুটি চালানোয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্কুটি চালানো নিয়ে বিজেপি নেতারা একাধিক বিরূপ মন্তব্য করেছেন এবং তাঁকে কটাক্ষ করেছেন। আজ ব্রিগেড জনসভা থেকে এই বিষয়ে তাঁকে চরম আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আক্রমণ বলা হয়তো ভুল, হাস্যরসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিলেন তিনি।

এদিন নরেন্দ্র মোদী বলেন, কদিন আগে তিনি (আপনি পড়ুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) যখন স্কুটিতে উঠেছিলেন তখন গোটা দেশের লোক চাইছিল তাঁর যেন চোট না লাগে। ভাগ্য ভালো তিনি পড়ে যাননি, না হলে যে রাজ্যে ওই স্কুটি তৈরি হয়েছিল তাকেই শত্রু বানিয়ে ফেলতেন তিনি! এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আরও কটাক্ষ করে নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গ টেনে এনে মন্তব্য করেন, “আপনার স্কুটি ভবানীপুরের বদলে নন্দীগ্রামে ঘুরে গিয়েছে। আমি সবার ভালো চাই, চাই না কেউ চোট পাক। কিন্তু স্কুটি যদি নন্দীগ্রামে মুখ থুবরে পড়ে তাহলে কিছু করার নেই!”  এর পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে তিনি আরো মন্তব্য করেন, বাংলার স্কুল, কলেজ থেকে শুরু করে, হাসপাতাল এবং শিল্পে কোন রকম পরিবর্তন হয়নি বিগত বছরগুলিতে। কিন্তু খুনখারাপি রাজনীতি একই রকম রয়ে গেছে। সেই প্রেক্ষিতেই নতুন স্লোগান দেওয়া শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভ্রষ্টাচার আর নয়, তোলাবাজি আর নয় থেকে শুরু করে, আতঙ্ক আর নয়, সিন্ডিকেট আর নয়… ইত্যাদি ইত্যাদি। 

আরও পড়ুন-  পর্দার ‘মহাগুরু’ও ছিলেন চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে! ‘ফুল’ বদলে ফের রাজনীতিতে

প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের জন্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি শুধুমাত্র নন্দীগ্রাম থেকে নির্বাচনে লড়ছেন, ভবানীপুর থেকে তিনি লড়বেন না। এবারের নির্বাচনে ভবানীপুরের প্রার্থী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়। এই ঘোষণার পর বিজেপির নেতারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বলেছেন, তিনি নন্দীগ্রামের থেকে খালি হাতে ফিরছেন, এটা নিশ্চিত। শুভেন্দু অধিকারী তো অনেকদিন আগে থেকেই দাবি করে আসছেন যে তিনি নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হাফ লক্ষ ভোটে হারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *