নয়াদিল্লি: কোভিড পরিস্থিতিতে সংক্রমণের ধাক্কায় গত বছর মার্চ মাস থেকে বন্ধ রয়েছে স্কুল কলেজ৷ পঠন পাঠন চলছে অনলাইনে৷ প্রথম ধাক্কা সামলে পরিস্থিতি কিছুটা থিতু হওয়ার পর চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের অবশ্য স্কুলে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাক্কায় ফের বন্ধ স্কুলের দরজা৷ অথচ অনলাইন ক্লাসের জন্য অভিভাবকদের গুনতে হচ্ছে সম্পূর্ণ ফিজ৷ এই পরিস্থিতিতে তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের৷
আরও পড়ুন- অশান্তি হলে কড়া পদক্ষেপ করতে পিছুপা হব না, শপথ নিয়েই হুঁশিয়ারি মমতার
শীর্ষ আদালতের এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ স্কুল-কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য৷ একটি মালায় মঙ্গলবার বিচারপতি খানউইলকরের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানায়, গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে স্কুল-কলেজ বন্ধ রয়েছে৷ ক্লাস চলছে অনলাইনে৷ এই পরিস্থতিতে আদর্শগত দিক থেকে ফিজ কমানো উচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির৷ কারণ স্কুল বন্ধ থাকায় রক্ষণাবেক্ষণ, বিদ্যুতের বিল, জেনারেটর চালানোর জন্য পেট্রোল বা ডিজেল, পরিশুদ্ধ জলের খরচ বা স্টেশনারি চার্জ কোনও কিছুই প্রয়োজন হচ্ছে না৷ সুপ্রিম কোর্ট আরও জানায়, যে সকল জিনিসের জন্য খরচ হচ্ছে না, তার জন্য ফিজ নেওয়া হচ্ছে কেন? ক্যাম্পাস খরচ কমে গিয়েছে স্কুলগুলির৷ তাই অনলাইন ক্লাসের জন্য ফিজও কমানো উচিত তাঁদের৷ এতে কিছুটা হলেও চাপ কমবে অভিভাবকদের৷ প্রসঙ্গত, রাজস্থানের কিথু বেসরকারি স্কুলের আবেদনের ভিত্তিতে এমনই মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের৷
আরও পড়ুন- কোভিড মোবাবিলাই অগ্রাধিকার, ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়েও বিরোধীদের কড়া বার্তা মমতার
এদিন মামলা চলার সময় রাজস্থানের স্কুলগুলির উদ্দেশে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, ২০২০-২১ সেসনের জন্য ১৫ শতাংশ ফিজ কমানো উচিত তাদের৷ উল্লেখ্য, রাজস্থান সরকারের নির্দেশ ছিল অনলাইন ক্লাসের জন্য ৩০ শতাংশ ফিজ কমাতে হবে স্কুলগুলিকে৷ ২০২০-২১ অর্থবর্ষের জন্যে এই নির্দেশ লাগু করতে বলা হয়৷ কিন্তু এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় বেশ কিছু বেসরকারি স্কুল৷ কিন্তু এই মামলায় স্কুলগুলিকেই মানবিক হওয়ার নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত৷