কলকাতা: গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার বৃষ্টিতে তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি৷ বাড়ছে নদীর জলস্তর৷ দেখা দিয়েছে প্লাবনের আশঙ্কা৷ এমতাবস্থায় সাধারণ মানুষের সম্পত্তি ও প্রাণহানি রুখতে তৎপর রাজ্য সরকার৷ তাই আগে থেকেই সব রকমের সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করতে চাইছে তাঁরা৷
আরও পড়ুন- রূপনারায়ণ-দ্বারকেশ্বরের জলে প্লাবিত খানাকুল, উদ্ধারে নামল সেনাবাহিনীর কপ্টার
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিপদ সীমার মধ্যে থাকা জেলাগুলি থেকে ইতিমধ্যেই ৯০ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জলবন্দি এলাকার মানুষদের রাখার জন্য খোলা হয়েছে ৩৫০টি ত্রাণ শিবির। সম্প্রতি জেলা শাসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী৷ ওই বৈঠকে জেলা প্রশাসনকে বন্যা মোকাবিলায় যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রাখার নির্দেশ দেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও মুখ্যসচিবের কাছ থেকে এই বিষয়ে যাবতীয় খোঁজখবর নিয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে৷ সাধারণ মানুষের জীবন রক্ষার পাশাপাশি সম্পদ হানি রুখতে প্রয়োজনীয় সব রকমের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তাঁর নির্দেশ মতো তৎপরতা শুরু হয়েছে প্রশাসনের অন্দরে। নবান্ন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত জলবন্দি এলাকায় ১ লক্ষ ত্রিপল ও ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ১ হাজার মেট্রিক টন চাল এবং ৩৫ হাজার জামা কাপড়।
আরও পড়ুন- প্রতিবেশী দাদার হাতে ধর্ষিতা নাবালিকা, সালিশি সভায় মীমাংসার চেষ্টা
উল্লেখ্য প্রতিবেশী ঝাড়খন্ডে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় বিভিন্ন জলাধার থেকেও জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ছে। এর ফলে নদীগুলির জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা সহ বেশকিছু জেলায় বিভিন্ন অঞ্চল ইতিমধ্যেই প্লাবিত হয়েছে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টিপাত চলায় বিপদের আশঙ্কা আরও বাড়ার ইঙ্গিত রয়েছে৷