প্রতিবেশী দাদার হাতে ধর্ষিতা নাবালিকা, সালিশি সভায় মীমাংসার চেষ্টা

প্রতিবেশী দাদার হাতে ধর্ষিতা নাবালিকা, সালিশি সভায় মীমাংসার চেষ্টা

 

মারিশদা: প্রতিবেশী দাদার হাতে নাটকীয় ধর্ষণের শিকার হল ১৩ বছরের নাবালিকা বোন। এমনকি বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর অভিযুক্তের পরিবার বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার জন্য সালিশি সভাও বসায় বলে অভিযোগ৷ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মারিশদা থানার বাড়চুনপাড়া এলাকায়। ধর্ষিতা নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। মারিশদা থানার পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্ত সিন্টু খাটুয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ আজ, সোমবার অভিযুক্তকে কাঁথি আদালতে তোলা হবে৷ অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (৩) ও পক্সো আইনের মামলার রুজু করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা আটটা নাগাদ নাবালিকা কাকার বাড়িতে যাচ্ছিল। ওই সময় প্রতিবেশী দাদা সিন্টু খাটুয়া নাবালিকার পথ আটকায়। অভিযোগ, রাস্তা পাশে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে৷ নারকীয় অত্যচারে কথা কাউকে জানালে নাবালিকা সহ তার পরিবারের সদস্যদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। প্রথমে ওই নাবালিকা বাড়ি ফিরে কিছু না জানালেও, বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। এরপর নাবালিকা মাকে সব কথা জানায়।

ঘটনা জানাজানি হতেই গোটা এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি এলাকায় গ্রাম্য সালিশি সভার মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে অভিযুক্ত ও তার পরিবারের সদস্যরা৷ এমনকি গ্রাম্ে ডাকা হয় সালিশি সভাও। সেখানে সিন্টু তার পরিবারের লোকেরা কেউ আসেনি বলে অভিযোগ। রবিবার সন্ধ্যায় নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা মারিশদা থানার পুলিশের দ্বারস্থ হয়। অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ অভিযুক্ত ধর্ষণকারী যুবককে গ্রেফতার করে।

মারিজে থানার ওসি রাজু কুণ্ডু বলেন ” অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নাবালিকার ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে৷” যদিও এবিষয়ে অভিযুক্ত যুবক বা তার পরিবারের সদস্যদের কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হননি। ধর্ষিতা নাবালিকা পরিবারের এক সদস্য বলেন ” অভিযুক্ত সিন্টুর কঠোর শাস্তি চাই। এরকম ঘটনা যেন অন্য কারও সঙ্গে না ঘটে৷ তার জন্যই কঠোর শাস্তি দিতে হবে৷”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *