খানাকুল: টানা বৃষ্টিতে বেহাল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত৷ নাগারে বৃষ্টিতে জলমগ্ন একাধিক এলাকা৷ জলের তলায় তলিয়ে গিয়েছে ঘর বাড়ি৷ ফুঁসছে নদী৷ অনেক জায়গায় আবার জল ছাড়া হচ্ছে৷ যার জেরে তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি৷ রূপনারায়ণ ও দ্বারকেশ্বর নদীর জলে ভাসছে খানাকুলের একাধিক গ্রাম। হু হু করে জল ঢুকতে শুরু করেছে গ্রামে।
আরও পড়ুন- তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন বাবুল? মন্ত্রী মন্তব্যে সম্ভাবনা তুঙ্গে
যেখানে চোখ যায় শুধু জল আর জল। কোথাও গলা পর্যন্ত, কোথাও আবার কোমর জলে ভাসছে খানাকুলের জানাপাড়া, পালপাড়া, আদকপাড়া। বিঘার পর বিঘা জমি জলের তলায় ডুবে গিয়েছে৷ ঘরের ভিতরেও জল ঢুকে পড়েছে। নেই পানীয় জল ও খাবার। ঘরবাড়ি জলে তলিয়ে যাওয়ায় মাথায় হাত স্থানীয়দের। এই অবস্থায় সোমবার সকাল থেকেই বাঁধের ধারে আটকে থাকা মানুষজনকে উদ্ধারের কাজ শুরু করে সেনাবাহিনী৷ নামানো হয় সেনার কপ্টার৷ এই প্রথম কপ্টার নামিয়ে আরামবাগে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে সেনা৷
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই খানাকুলের ধান্যঘরির বেড়াপাড়া থেকে ১১ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে৷ তাঁদের আরামবাগে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসা হয়েছে৷ খানাকুল থেকে যে ১১ জনকে উদ্ধার করে আনা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৩ জন মহিলা এবং ৮টি শিশু ও বালক রয়েছে৷ শুধু খানাকুলই নয়৷ টানা বৃষ্টিতে জলের তলায় হাওড়া ও হুগলির বিস্তীর্ণ অঞ্চল৷ তবে দ্বারকেশ্বরের বাঁধ ভেঙে প্লাবিত খানাকুল৷ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পাঁশকুড়া ও ঘাটালেও৷ জাতীয় সড়কে বন্ধ যান চলাচল৷
আরও পড়ুন- ফেসবুকে নাটক না করে বাবুলের উচিত স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠানো: সুজাতা
এদিকে, ভারসাম্য বজায় রাখতে জল ছাড়তে শুরু করেছে ডিভিসি৷ যার জেরে ভাগীরথীর জলস্তরও বাড়তে শুরু করেছে৷ ভাগীরথীর ভাঙনে দিশাহারে নদীর দুই পাড়৷ একদিকে পূর্বস্থলী ১ ব্লকের নসরতপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত জালুইডাঙা অন্যদিকে নদীর ওপারে মনমোহনপুর ও কিশোরীগঞ্জ এলাকার মানুষজন নদীর জলে বিপর্যস্ত৷ জল ঢুকে পড়েছে চাষের জমিতে৷ জলের তলায় ঘর বাড়ি৷ অবিলম্বে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে জলের তলায় তলিয়ে যেতে পারে গোটা গ্রাম৷ জলের ডুববে হাওড়া-কাটোয়া রেল লাইন৷