কলকাতা: সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ দেখে উদ্বেগে রাজ্য সরকার৷ কী ভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায়, তা নিয়ে ক্রমাগত আলোচনা চলছে৷ গতকাল কলকাতা সাগর দত্ত মেডিক্যাল হাসপাতালকে ৫০০ বেডের কোভিড হাসপাতাল করা হয়েছে৷ পাশাপাশি জেলাগুলির দিকেও নজর রাখছে প্রশাসন৷
আরও পড়ুন- না আছে গাড়ি, না-বাড়ি, জেনে নিন বাম প্রার্থী ঐশী ঘোষের বিষয় আশয়
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কার্যত দিশেহারা গোটা দেশ৷ আমাদের রাজ্যেও এর প্রভাব পড়েছে৷ বিশেষ করে ভোট মরশুমে আরও বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছে সংক্রমণের গতি৷ এই পরিস্থিতিতে জেলার হাসপাতালগুলিতে কোভিড বেড সর্বোচ্চ কত সংখ্যক বাড়ানো সম্ভব, সেই বিষয়ে জেলাগুলোর কাছে রিপোর্ট তলব করেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য ভবন থেকে আজ জেলা স্বাস্থ্য কর্তাদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে বৈঠক করা হয়৷ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কাছে আজ সন্ধ্যার মধ্যে এই বিষয়ে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। আজ প্রায় দু’ঘণ্টা চলে বৈঠক৷ প্রায় প্রতিটি জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকরাই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন৷ তবে ভোটমুখী বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও মালদহ জেলা স্বাস্থ্য কর্তারা এদিন উপস্থিত হতে পারেননি। মূলত করোনা চিকিৎসার পরিকাঠামো কী ভাবে ও কতটা বাড়ানো যায়, সে বিষয়েই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর। অন্যদিকে রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং নির্বাচন কমিশনের সঙ্গেও আজ জেলাগুলোর স্বাস্থ্য প্রশাসনের আলাদা বৈঠক হওয়ার কথা।
আরও পড়ুন- করোনা আক্রান্ত মমতাবালা, সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেলেন না জিৎ, শুভশ্রীও
এদিকে রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে শেষ তিন দফার নির্বাচন একদিনে করার প্রস্তাব দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এই প্রেক্ষিতে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল দ্বারস্থ হয়েছে নির্বাচন কমিশনের। তাদের মূল বক্তব্য, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে সভা এবং মিছিল কমিয়ে দিতে হবে সেই প্রেক্ষিতে যদি নির্বাচন একদফায় করা যায় তাহলে স্বাভাবিকভাবেই সেই সংখ্যা কমে যাবে। অন্যদিকে ভোট পরিচালনার কাজে যুক্ত কর্মীরা যে কোনো মুহূর্তে আক্রান্ত হতে পারেন, তাহলে ভোট প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে। যদিও এর আগে যখন তৃণমূল কংগ্রেস এক দফায় নির্বাচন করতে বলেছিল তখন বিজেপি সহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল তাদের সমর্থন জানায়নি।