গোঘাট: একুশের ভোটে নজরে এখন নন্দীগ্রাম৷ যুযুধান দুই রাজনৈতিক শিবিরের হেভিওয়েট প্রার্থীদের লড়াইয়ের দিকেই আপাতত নজর গোটা বাংলার৷ ভোটের আগের দিন গোঘাটের জনসভা থেকে ফের আক্রমণাত্মক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল তাঁর গাড়ি ঘিরে জয় শ্রীরাম ধ্বনি ওঠার ঘটনায় মেজাজ হারালেন তিনি। ভোট মিটলেই কড়ায় গণ্ডায় হিসেব মেটানোর হুঙ্কার দিলেন তৃণমূল নেত্রী।
আরও পড়ুন- ‘শালা, দুধ-কলা দিয়ে কালসাপ পুষেছি’, মঞ্চে মেজাজ হারালেন মমতা!
এদিন শভেন্দুকে নিশানা করে ক্ষুব্ধ কণ্ঠে মমতা বলেন, ‘‘নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিস, তুইও লড়বি আমিও লড়ব৷ মানুষ যাঁকে পছন্দ করবে ভোট দেবে৷ যাঁকে পছন্দ করবে না ভোট দেবে না৷ এত হিংসা কীসের?’’ প্রসঙ্গত, গতকাল তাঁর গাড়ির উপর হামলা ঘটনা নিয়েও সরব হন তিনি৷ বলেন, মঙ্গলবার আমার গাড়ি ঘিরে তার উপর আঘাত করা হয়েছে৷ পথ আটকানোর চেষ্টা হয়েছে৷ যার সাক্ষী রয়েছে সংবাদমাধ্যম৷ এ সব দেখার পরেও নির্বাচন বলে চুপ করে আছি, নাহলে দেখে নিতাম কার কত বড় চেহারা৷
কটাক্ষ করে মমতা বলেন, ‘‘বলছে, ডবল ইঞ্জিন সরকার গড়বে৷ তাহলে ভোট করতে ভয় কীসের? বিহার-উত্তরপ্রদেশ থেকে গুণ্ডা-বন্দুক পাঠিয়েছে৷ এখনও নন্দীগ্রামে সেই গুণ্ডা বসে আছে৷ নির্বাচন কমিশনকে বলে বলে মুখ ব্যথা হয়ে গিয়েছে৷ গলা ব্যথা হয়ে গিয়েছে আমার৷’’
তাঁর কথায়, এখন নির্বাচন কমিশনের অধীনে রয়েছে পুলিশ৷ তাহলে আপনাদের কাছে কেন বার্তা গেল না পায়ে চোট লাগার পরেও গতকাল ফের আমার গাড়ি ঘিরে তাণ্ডব করা হল৷ কালকেও নন্দীগ্রামের বোয়াল, গোকুলনগর সহ একাধিক জায়গায় রাতভোর ভয় দেখানো হয়েছে৷ আমি চুপ করে আছি বলে এটা আমার দুর্বলতা নয়৷
আরও পড়ুন- ১,৬০০ জওয়ান মোতায়েন করার পরিকল্পনা! নন্দীগ্রাম ‘ঘুম ওড়াচ্ছে’ কমিশনের
তাঁর কটাক্ষ, বাবা-জ্যাঠাদের দেখা আছে৷ পুলিশ দেখলেই পালিয়ে যায়৷ নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় ১৫-২০ দেখা যায়নি তাঁদের৷ ভয়ে গুটিয়ে ছিল। সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল। আর যে নব সামন্তের বাড়ি থেকে গুলি চলেছিল আজ তাঁরাই বিজেপি’র নেতা হয়েছে। তাঁদের দিয়েই গুণ্ডামি করাচ্ছে৷ আমি গুণ্ডাগুলোর নাম-চেহারা, সব ভালো করে ভিডিয়োতে তুলে রেখে দিয়েছি৷ ভোট মিটলেই দেখব কত ধানে কত চাল৷ দেখব কোন গদ্দার তাদের আশ্রয় দেয়৷ যেখানেই যাও রবীন মান্নার খুনীদের কান ধরে টেনে আনব৷