গুজরাট: দেশ জুড়ে আছড়ে পড়েছে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ, স্বীকার করে নিয়েছেন চিকিৎসকরাও। কিন্তু মানুষের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে কতটা? বা আদেও বেড়েছে কি? গুজরাটের ঘটনায় আরো একবার উঠে গেল সেই প্রশ্ন।
আরও পড়ুন- গেরুয়া চক্রবুহ্যে দেশের রাজনীতি? শেষ ৪ বছরে রেকর্ড MP-MLA যোগদান!
মহাশিবরাত্রি উপলক্ষ্যে করোনা সংক্রমণের মধ্যেই বিপুল জনসমাগম দেখল গুজরাট, সামাজিক দূরত্ব বিধির তোয়াক্কা না করে মহাদেবের উপসনায় সামিল হলেন মানুষ। এই ঘটনার জন্য দায়ী কে? আর কেউ নন, স্বয়ং ঈশ্বর! এদিন এমনটাই জানালেন সংশ্লিষ্ট এলাকার বিজেপি বিধায়ক যোগেশ প্যাটেল। গুজরাটের ভাদোদরায় শিবরাত্রি উপলক্ষ্যে জনসমাগম প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়ে বিজেপি নেতা সাফ জানিয়ে দেন, এর জন্য তিনি কোনোভাবেই জবাবদিহি করতে রাজি নন। ভগবানের টানেই এত মানুষ জড়ো হয়েছেন, তাই এর দায় একমাত্র ঈশ্বরেরই। বলা বাহুল্য, বিজেপি নেতার এহেন মন্তব্যে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবিরও।
বস্তুত, দেশ জুড়ে করোনা ভ্যাকসিন বন্টনের প্রক্রিয়া শুরু হলেও অতিমারী নতুন করে চিন্তায় ফেলেছে ভারতকে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, বিশেষত পশ্চিম ভারতে সংক্রমণের হার হঠাৎই বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। করোনার এই দ্বিতীয় ঢেউকে সামলে উঠতে হলে যে কঠোর ভাবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার বিকল্প নেই, তা স্বীকার করে নিয়েছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু গুজরাটে সংক্রমণ পরিস্থিতি রীতিমতো উদ্বেগজনক হওয়া সত্ত্বেও শিবরাত্রি উপলক্ষ্যে ভাদোদরায় বহু মানুষকে জড়ো হতে দেখা যায়। এই অনুষ্ঠানটি ‘সত্যম শিবমন্দির সুন্দরম সমিতি’ আয়োজন করেছিল বলে জানা গেছে। এ প্রসঙ্গেই সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থা এএনআই-কে বিধায়ক যোগেশ প্যাটেল জানান, “আমি তো কাউকে আমন্ত্রণ জানাই নি। তাহলে এটা নিয়ে আমায় কেন প্রশ্ন করা হচ্ছে? আমি কেন জবাব দেবো?” এরপরই তিনি জুড়ে দেন, “ভগবান এই জনসমাগমের জন্য দায়ী।”
আরও পড়ুন- তৃণমূলের চাপ? রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা স্বপন দাশগুপ্তের
উল্লেখ্য, গুজরাটের করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হওয়ায় মঙ্গলবারই রাজ্য সরকারের তরফে চারটি শহরে ঘোষণা করা হয়েছে নাইট কার্ফ্যু। এ পর্যন্ত করোনায় গুজরাটে মৃত্যু হয়েছে ৪৪২৫ জনের।