তৃণমূলের চাপ? রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা স্বপন দাশগুপ্তের

তৃণমূলের চাপ? রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা স্বপন দাশগুপ্তের

নয়াদিল্লি: তিনি রাষ্ট্রপতি মনোনীত রাজ্যসভার সাংসদ। এদিকে পশ্চিমবঙ্গের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তারকেশ্বরের প্রার্থী হয়েছেন স্বপন দাশগুপ্ত। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের এক সাংসদ অভিযোগ করেন, ভারতীয় সংবিধানের দশম তফসিল লংঘন করেছেন বিজেপি নেতা। সেই কারণে স্বপন দাসগুপ্তের রাজ্যসভার সদস্য পদ খারিজের দাবি জানান তিনি। যদিও তার আগেই রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বিজেপির প্রার্থী। তাহলে কি ওই অভিযোগের জের?

জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই স্বপন দাশগুপ্ত তাঁর ইস্তফাপত্র জমা দিয়ে দিয়েছেন এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডুর কার্যালয়ে সেটি গ্রহণ করেছে। যদিও স্বপন দাশগুপ্তের ইস্তফা এখনো গ্রহণ করা হয়নি। তবে ইস্তফা দেওয়ার আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের এক সাংসদ অভিযোগ তুলে ছিলেন, রাজ্যসভার সাংসদ হয়ে সকল দাসগুপ্ত বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন, সেটি ভারতীয় সংবিধানের দশম তফসিল লংঘন করা। সেই কারণে তাঁর রাজ্যসভার সদস্য পদ খারিজের দাবি জানান তিনি। যদিও সেই প্রক্রিয়া শুরু হবার আগেই ইস্তফা দিয়ে দিয়েছেন স্বপন দাশগুপ্ত। এই প্রেক্ষিতে আবার টুইট করে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য বিজেপি প্রার্থীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ।

আরও পড়ুন- গৃহযুদ্ধে তপ্ত বিজেপি! ‘ছোটো ঘটনা’, দাবি শমীকের, ‘খুব স্বাভাবিক’, বললেন সৌগত

তার আগে টুইট করে তিনি লেখেন, ‘বাংলার নির্বাচনে স্বপন দাশগুপ্ত বিজেপি প্রার্থী। সংবিধানের দশম তফসিলে বলা রয়েছে, রাজ্যসভার কোনও মনোনীত সদস্য শপথগ্রহণ করার ৬ মাস পর যদি কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দেন, তা হলে তাঁর সদস্যপদ বাতিল হয়ে যায়। স্বপন শপথ নিয়েছিলেন ২০১৬-র এপ্রিলে। এখনও কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার জন্য এখনই তাঁর সদস্যপদ বাতিল করতে হবে’। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে মেয়াদ ছিল স্বপনের।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *