কলকাতা: প্রায় ৯ মাস হতে চলল৷ করোনা প্যান্ডেমিকের জেরে বন্ধ রয়েছে স্কুল৷ এই পরিস্থিতিতে চলতি বছরের জন্য বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ৷ এই বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে৷
আরও পড়ুন- সিলেবাসে ‘নেই’ বাংলার ‘কৃষি-আন্দোলনে’র ইতিহাস! সিদ্ধান্ত ‘কৃষকদরদী’ সরকারের!
প্রতিটি সরকারি, সরকার পোষিত এবং সরকারি মদতপুষ্ট স্কুলের প্রধানকে এই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়েছে, এই বছর ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণির সকল পড়ুয়াকে পরীক্ষা ছাড়াই পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ করা হবে৷ মূল্যায়ন ছাড়াই পরের ক্লাসে তুলে দেওয়া হবে তাদের৷ তবে স্কুল খোলার পর নিয়ম মাফিক ক্লাস চালু হলে আগের ক্লাসের সম্পূর্ণ সিলেবাস বুঝিয়ে দিতে হবে শিক্ষকদের৷ বর্তমান ক্লাসের সিলেবাস শুরু করার আগেই পূর্ববর্তী ক্লাসের সিলবাস শেষ করতে হবে৷ পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ যাতে তাদের দানার ক্ষেত্রে কোনও খামতি না থাকে৷
আরও পড়ুন- জানুয়ারি থেকে স্কুল খোলার অনুমতি চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি CISCE -র
এছাড়াও এই বছর প্যান্ডেমিক পরিস্থিতির জেরে দশম শ্রেণির টেস্ট পরীক্ষাও বাতিল করা হয়েছে৷ প্রয়োজন পড়লে ২০২১ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে মক টেস্টের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের প্রস্তুত করতে পারেন শিক্ষক-শিক্ষিকার৷ যদিও রাজ্য সরকারের টেস্ট পরীক্ষা বাতিল করার সিদ্ধান্তে বহু অভিভাবক এবং পড়ুয়াই চিন্তায় পড়েছে৷ একে দীর্ঘ দিন ধরে স্কুল বন্ধ৷ তার উপর পরীক্ষা না হওয়ায় তারা কতটা নিজেদের প্রস্তুত করতে পারবে তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে৷ টেস্ট পরীক্ষা না হওয়ায় টেস্ট পেপার দেখে নিজেদের তৈরি করার সুযোগও থাকছে না পড়ুয়াদের সামনে৷
এবিষয়ে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, ‘‘প্রাথমিক শিক্ষার মধ্যে পঞ্চম শ্রেণি থাকলেও অধিকাংশ হাই স্কুলগুলিতে এখনও পঞ্চম শ্রেণি রয়েছে৷ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এই নোটিফিকেশনে পঞ্চম শ্রেণির কোনও কথা উল্লেখ নেই কেন? রাজ্যে প্রায় সব কিছু স্বাভাবিক হলেও কবে থেকে বিদ্যালয়ে পঠন-পাঠন শুরু হবে, এখনও তার কোনও নির্দেশিকা নেই৷ অথচ জানানো হল, ক্লাস শুরু হলে পূর্বের ক্লাসের সম্পূর্ণ সিলেবাস শেষ করবার পর নতুন ক্লাসের পঠন-পাঠন শুরু হবে৷ এটা কতটা বাস্তব সম্মতভাবে কার্যকর করা যাবে, এ ব্যাপারে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে৷’’