নয়াদিল্লি: কবে থেকে ফের শুরু হবে স্কুলের পঠন পাঠন? করোনা পরিস্থিতিতে এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে পড়ুয়াদের সামনে৷ স্কুল বন্ধ থাকায় নানা সমস্যায় পড়তে হয়েছে তাদের৷ তবে আগামী ৪ জানুয়ারি থেকে স্কুল খোলার অনুমতি চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠাল কাউন্সিল ফর দা ইন্ডিয়ান স্কুল সার্টিফিকেট এগজামিনেশনস (সিআইএসসিই)৷ বোর্ড পরীক্ষার আগে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের স্কুলে আসার সুযোগ দিতেই এই চিঠি বলে জানা গিয়েছে৷
আরও পড়ুন- মাধ্যমিক পরীক্ষা কবে? শিক্ষা দফতরকে নয়া প্রস্তাব পর্ষদের
বোর্ড পরীক্ষার আগে প্র্যাকটিকাল ক্লাস এবং প্রজেক্ট ওয়ার্ক করার জন্য পর্যাপ্ত সময় দেওয়া প্রয়োজন পড়ুয়াদের৷ যার জন্য সামনাসামনি শিক্ষক ও পড়ুয়াদের মুখোমুখি হওয়া প্রয়োজন৷ একথা জানিয়েই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে৷ ওই চিঠিতে সাক্ষর করেছেন সিআইএসসিই-র চিফ এগজিকিউটিভ এবং সেক্রেটারি গেরি আরথুন৷ গত সপ্তাহে আরথুন বলেছিলেন, বোর্ড পরীক্ষা সম্ভবত জুন মাসে নেওয়া হবে৷ এবং পরীক্ষা হবে পেন এবং পেপারে৷ বুধবার সিবিএসই-র তরফেও বলা হয়, নির্ধারিত পদ্ধতিতেই পরীক্ষা হবে৷
আরও পড়ুন- মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ফর্ম পূরণের নির্দেশিকা পরিষদের
গেরি আরথুন তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, ‘‘ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে উপস্থিত হলে, সেই সময়ের মধ্যে প্র্যাকটিকাল ওয়ার্ক, প্রোজেক্ট ওয়ার্ক, প্রোডাক্টিভ ওয়ার্ক হবে৷ এছাড়াও পড়ুয়াদের মধ্যে কোনও বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য থাকলে বা সংশয় থাকলে তা তারা জেনে নিতে পারবে৷ এতে পড়ুয়ারা উপকৃত হবে৷ তারা শিক্ষকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার সুযোগ পাবে৷’’ স্কুল খুললে কোভিড বিধি মেনেই ক্লাস হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি৷ মেনে চলা হবে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং সিস্টেম৷ তিনি আরও বলেন, প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষায় বসার আগে কিছু ক্লাস করার প্রয়োজন রয়েছে৷ এছাড়াও পরীক্ষা হবে পেন আর পেপারে৷ অনলাইন পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে৷ সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে সংযোগ ব্যবস্থা৷ ছাত্রছাত্রীরা এখন মোবাইল ফোনে অনলাইন ক্লাস করছে৷ কিন্তু মোবাইল ফোনে কী ভাবে বোর্ড পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব?