পুরোহিত নয়, ‘অ-‌হিন্দু’ সামিয়ার সরস্বতী বন্দনা!

পুরোহিত নয়, ‘অ-‌হিন্দু’ সামিয়ার সরস্বতী বন্দনা!

বারাসত:  সরস্বতী পুজো মানেই স্কুল-কলেজের হইহুল্লোড়, বন্ধুদের সঙ্গে দেদার মজা৷ সকাল থেকে স্কুলে পৌঁছে পুজোর কাজ করা৷ পড়ুয়াদের কাছে এটি একটি বিশেষ দিন৷ আর এই বিশেষ দিনটি আরও একবার স্মরণীয় হয়ে থাকল সামিয়া হকের সরস্বতী বন্দনায়৷ হ্যাঁ, সত্যই তাই৷ ধর্মের বেড়াজাল ভেঙে সরস্বতী পুজোয় দেবী বন্দনা করে সকলকে হতবাক করলেন বারাসত কালিকৃষ্ণ বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর এই ছাত্রী৷ তাঁর স্তোত্র আরও একবার মন ছুঁয়ে গেল স্কুলের শিক্ষিকাদের৷ 

আরও পড়ুন-  তৃণমূলে ‘কামব্যাক’ জিতেন্দ্রর! ভোটের মুখে পেলেন বড় দায়িত্ব

করোনার বিষ কামড়ে, সেই মার্চ মাস থেকে বন্ধ রয়েছে স্কুলের পঠনপাঠন৷ দীর্ঘ দশ মাস পর গত ১২ ফেব্রুয়ারি খুলেছে স্কুলের দরজা৷ নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের স্কুলে আসার অনুমতি দেওয়া হয়ছে৷ কোভিড পরিস্থিতিতে আজ অধিকাংশ স্কুলেই সরস্বতী পুজো হয়েছে নামমাত্র। বারাসতে কালিকৃষ্ণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়েও সমস্ত স্বাস্থ্য বিধি মেনে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর মেয়েদের নিয়েই সরস্বতী পুজো পালন করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ও সহ শিক্ষিকারা। সরস্বতী পুজোর যাবতীয় কাজ নিজেদের হাতেই সারল বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা৷ কোভিড বিধি মেনেই চলল সব কাজ৷ 

আরও পড়ুন-  কমেছে স্কুল ছুটের সংখ্যা, কিন্তু নিয়োগ? উঠছে প্রশ্ন

এরই মাঝে সরস্বতী বন্দনা করে সকলের নজর কাড়ে বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্রী সামিয়া হক৷ এর আগেও সামিয়া এই ধরনে স্তোত্রপাঠ, আবৃত্তি সহ বহু অনুষ্ঠান করেছে বলে জানান স্কুলের শিক্ষিকারা। প্রধান শিক্ষিকা বলেন, সরস্বতী পুজো একটা উৎসব৷ অনেকেই একে বাঙালির ভ্যালেন্টাইন্স ডে বলে উল্লেখ করে থাকেন৷ কিন্তু অন্যান্য স্কুলের চেয়ে আমাদের স্কুলে একটু ভিন্ন ভাবেই পালিত হয় এই উৎসব৷ কারণ জাত পাতের ঊর্ধ্বে উঠে সকল ধর্মের পড়ুয়ারা সামিল হয় এই পুজোয়৷  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *