কলকাতা: অবশেষে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের মানভঞ্জন করতে সক্ষম হলেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেলেন তিনি। সূত্রের খবর, জাতীয় মুখপাত্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে। এই খবরে স্বাভাবিকভাবেই খুশি পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক।
দলবদল পরিস্থিতিতে যখন শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে টালমাটাল বঙ্গ রাজনীতি, ঠিক সেই সময় হঠাৎ পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে নিজের পদ থেকে ইস্তফা দেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তাঁর মূল অভিযোগ ছিল, কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের জন্য আসানসোলের উন্নয়ন হচ্ছে না এবং এর জন্য মূলত দায়ী রাজ্য সরকার। যদিও পরবর্তী ক্ষেত্রে দলে ফিরে আসার সবরকম চেষ্টা করেছেন তিনি। কিন্তু প্রাথমিক পর্যায়ে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে নিয়ে কোনোরকম ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস। জিতেন্দ্র তিওয়ারি ইস্তফা প্রসঙ্গে বিজেপির তরফ থেকে জল্পনা উদ্দীপক মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় সহ একাধিক বিজেপি নেতা। বুঝা যায় বিজেপি জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে নেওয়ার ব্যাপারে একেবারেই ইতিবাচক নয়, অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে খানিকটা দূরত্ব তৈরি হয়ে যায় তাঁর। এই আবহে কয়েকটি বিতর্কিত ফেসবুক পোস্ট এবং বক্তব্য জিতেন্দ্র তেওয়ারির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ দলাচলের মধ্যে ফেলে দেয়। তবে অবশেষে নিজের দলে ফিরে এলেন তিনি।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই আসানসোলের এক অনুষ্ঠানে রাজ্যের দুই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং মলয় ঘটক সহ পশ্চিম বর্ধমান জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে একই মঞ্চে দেখা যায় জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে। তারপরেই এত অল্প দিনের মধ্যেই তিনি পেলেন গুরুদায়িত্ব। এই ব্যাপারে জিতেন্দ্র জানিয়েছেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞ, কারণ তিনি তাঁর উপর ভরসা রেখেছেন। এই ভরসা করার মর্যাদা তিনি দেবেন বলে স্পষ্ট করেছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। এর আগে এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেছিলেন, “দিদিকে দুঃখ দিয়ে পৃথিবীতে বাঁচতে পারব না। দলেই আছি। দল ছাড়ছি না। ইস্তফা গ্রহণ না করতে অনুরোধ করব। দিদির কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইব।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে তিনি জানান, “আমি এত বড় নেতা নই দিদির সঙ্গে কথা বলব। দলের হয়েই কাজ করব। ভুল বোঝাবুঝি ছিল। আমারই দোষ। দিদির সঙ্গে দেখা করে প্রণাম করব।”