উচ্চমাধ্যমিকে অনুত্তীর্ণদের ‘পাশ’ করানোর নামে ৫০০ টাকা তুলছেন খোদ প্রধান শিক্ষক

উচ্চমাধ্যমিকে অনুত্তীর্ণদের ‘পাশ’ করানোর নামে ৫০০ টাকা তুলছেন খোদ প্রধান শিক্ষক

কোচবিহার: উচ্চমাধ্যমিকের ফল বেরতেই চরম অসন্তোষ জেলায় জেলায়৷ অকৃতকার্য ছাত্রছাত্রীদের পাশ করানোর দাবিতে কোথাও চলছে স্কুল ঘেরাও, কোথাও আবার চলছে ভাঙচুর৷ অভিযোগ খতিয়ে দেখে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদকে যথাযথ পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন৷ এরই মধ্যে অনুত্তীর্ণদের পাশ করানোর নামে টাকা তোলার অভিযোগ উঠল কোচবিহারে৷ অভিযোগ, খোদ স্কুলের প্রধান শিক্ষক এই টাকা সংগ্রহ করেছেন৷ চাপের মুখে অভিযোগ অস্বীকার করলেও ছাত্রদের টাকা ফিরিয়ে দেন ওই শিক্ষক৷ 

আরও পড়ুন- ১৫ জেলায় মৃত্যু শূন্য! বাংলার করোনা গ্রাফে বড় স্বস্তি

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হতেই দেখা যায় বেশ কিছু ছাত্রছাত্রীকে ফেল করানো হয়েছে৷ এর পর থেকেই শুরু হয় জেলায় জেলায় বিক্ষোভ৷ পরীক্ষায় না বসে কী ভাবে ফেল করানো হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পড়ুয়ারা৷ পাশ করানোর দাবিতে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ৷ যার জেরে বিপাকে পড়েছে সংসদ৷ নবান্ন থেকে জরুরি তলব করে সংসদ সভাপতির সঙ্গে বৈঠকও করেন মুখ্যসচিব৷ পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিত নয়৷ তবে শুরু হয়েছে অকৃতকার্য ছাত্রছাত্রীদের ফল পুনর্বিবেচনার আবেদনপত্র সংগ্রহের কাজ৷ এই সুযোগেই কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ ব্লকের আলোকঝাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের  প্রধান শিক্ষক পড়ুয়াদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা আদায় করছিলেন বলে গুরুতর অভিযোগ ওঠে৷ এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল বেধে যায়৷ 

আরও পড়ুন- ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প নিয়ে বিশেষ ভাবনা রাজ্যের, কাজ শুরু

পড়ুয়াদের অভিযোগ, স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুবীর কুমার ঘোষ উচ্চমাধ্যমিকে অনুত্তীর্ণদের পাশ করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা সংগ্রহ করেছেন৷ পাশ করার আশায় পড়ুয়ারা ৫০০ টাকা করে জমাও দেন৷ কিন্তু ঘটনা জানাজানি হতেই বিপাকে পড়েন প্রধান শিক্ষক৷ এর আগে মিড ডে মিলের সামগ্রী চুরির অভিযোগও উঠেছিল সুবীর কুমার ঘোষের বিরুদ্ধে৷ এবার টাকা তোলার অভিযোগে কাঠগড়ায় তিনি৷ যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষক৷ তবে প্রধান শিক্ষকের এই কীর্তিতে অস্বস্তিতে পড়েছেন স্কুলের বাকি শিক্ষকরা৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *