ধীরে হলেও ফের বঙ্গের সংক্রমণের গ্রাফ উঠছে, যা বলছে তথ্য

ধীরে হলেও ফের বঙ্গের সংক্রমণের গ্রাফ উঠছে, যা বলছে তথ্য

b5a644d543608e4645a0d6757ad33eab

কলকাতা: রাজ্যের কোভিড সংক্রমণ আরও তলানিতে এসে ঠেকেছে। শেষ এক সপ্তাহ ধরে নিম্নমুখী হয়েছে বঙ্গের কোভিড গ্রাফ। ১০০-র নীচে তো বটেই, এখন ৫০-র নীচেও চলে এসেছে আক্রান্তের সংখ্যা। যদিও গত দু’দিনে হালকা হলেও বেড়েছে সংক্রমণ। তাই সকলকে সতর্ক থাকার বার্তা এখনও পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল থেকে। এদিকে আজও রাজ্যের সুস্থতার হার ৯৮ শতাংশের ওপরে।

আরও পড়ুন- কী কী উপসর্গ দেখলে ডেঙ্গি রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করবেন? কী বলছেন চিকিৎসকরা?

শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৩৪ জন। পরিসংখ্যান অনুসারে, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে কোভিডে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২১ লক্ষ ১৮ হাজার ০৮৩ জন। এদিকে, রাজ্য আজ ফের এক জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট মৃত্যু হয়েছে ২১ হাজার ৫২৮ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড থেকে সেরে উঠেছেন ৮৪ জন। মোট সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ২০ লক্ষ ৯৬ হাজার ০২৮ জন। আজ মোট পরীক্ষা হয়েছে ৬ হাজার। বাংলার পজিটিভিটি রেট আজ দাঁড়িয়ে ০.৫৭ শতাংশে। করোনা পরিস্থিতি মধ্যেই অবশ্য চিন্তা বাড়াচ্ছে বঙ্গের ডেঙ্গি সংক্রমণের হার। তা নিয়ে নতুন আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।

তবে কোভিডের অন্যান্য উপসর্গ মাঝে মাঝে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। ঠিক যেমন ‘কোভিড কাশি’ নিয়ে এখন চিন্তা বাড়ছে সাধারণের। সাধারণভাবে দেখতে গেলে সর্দি-কাশির মূল উপসর্গের সঙ্গে কোভিডের উপসর্গের তেমন কোনও তফাৎ নেই। অর্থাৎ এক লহমায় বোঝা মুশকিল যে কোনটা কোভিডের কাশি আর কোনটা সাধারণ সর্দির। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর মধ্যেও সূক্ষ্ম একটা তফাৎ রয়েছে। জানান হয়েছে, সাধারণ কাশি ৬-৭ দিনের মধ্যেই সেরে যায়। কিন্তু কোভিড কাশি দীর্ঘস্থায়ী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

১৫ জেলায় মৃত্যু শূন্য! বাংলার করোনা গ্রাফে বড় স্বস্তি

১৫ জেলায় মৃত্যু শূন্য! বাংলার করোনা গ্রাফে বড় স্বস্তি

84affc1a99199ccb6bd181bc0fd2c98b

কলকাতা: তৃতীয় ঢেউয়ের রক্তচক্ষুর আগেই বাংলার করোনা গ্রাফ আগের থেকে অনেক বেশি নিয়ন্ত্রণে। নিম্নমুখী হয়েছে রাজ্যের ভাইরাস সংক্রমণ আর অন্যদিকে ১৫ জেলায় মৃত্যু হয়নি গত ২৪ ঘণ্টায়। সবমিলিয়ে আপাতত স্বস্তিতে রাজ্যবাসী।

শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ৬৫৭ জন, এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। আক্রান্ত নিরিখে আজও রাজ্যের শীর্ষে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে একদিনে আক্রান্ত হয়েছে ৮৪ জন। এদিকে সংক্রমণের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দার্জিলিং, সেখানে আক্রান্ত ৬৪ জন। সংক্রমণে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে নদিয়া জেলা, সেখানে একদিনে আক্রান্ত হয়েছে ৪৯ জন। কলকাতার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলক কম। এদিন আক্রান্ত হয়েছে ৪৬ জন। সব মিলিয়ে রাজ্যের মোট করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লক্ষ ২৪ হাজার ২৯৬ জন। এদিকে একদিনে ভাইরাসকে হারিয়ে ঘরে ফিরেছে ৮৭৫ জন। সবমিলিয়ে এখনো পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা ১৪ লক্ষ ৯৪ হাজার ৬৬৫ জন। রাজ্যের সুস্থতার হার এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে রয়েছে ৯৮.০৫ শতাংশ। অন্যদিকে গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মারা গিয়েছেন ১২ জন। মৃতদের মধ্যে তিনজন উত্তর ২৪ পরগনার এবং দুইজন করে মারা গিয়েছেন কলকাতা এবং দার্জিলিংয়ে। সবমিলিয়ে রাজ্যের মোট ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ১৮ হাজার ০৮৫ জন।

আরও পড়ুন- নিশীথের নাম না করেই আক্রমণ ডেরেক ও’ব্রায়েনের, অশান্তি লোকসভাতেও

উল্লেখ্য, সম্প্রতি স্বাস্থ্য দফতর থেকে একটি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোভিড অতিমারীর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে আপাতত বীমার মেয়াদ বাড়ানো হল। এই সংক্রান্ত পরবর্তী আদেশনামা প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্তই বহাল থাকবে। ২০২০ সালের মে মাস থেকে রাজ্য সরকার কোভিড যোদ্ধাদের এই বিমার সুবিধা দিয়ে আসছে। চিকিৎসক সহ স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ কর্মীর মতো যাঁরা কোভিড মোকাবিলায় সামনে থেকে লড়াই চালাচ্ছেন তাঁদের ও তাঁদের পরিবারকে সুরক্ষিত করতে ১০ লক্ষ টাকার বীমা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোভিড অতিমারীতে লড়াই করতে গিয়ে কেউ মারা গেলে তাঁর পরিবার ১০ লক্ষ টাকা পাবে। কোভিডে আক্রান্ত হলে ১ লক্ষ টাকা পাবে। ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে বিমার মেয়াদ সরকারিভাবে শেষ হয়ে গিয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *